বদরুল আমীন, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহে আবাসিক অধিকাংশ হোটেল গুলোতে দিবা-রাত্র চলছে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপ। তবে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো তেলেসমাতি খেলা করছে প্রশাসন। ছেলে-মেয়ে ধরে তাদেরকে গ্রেফতার না করে ওখানে বসেই ছেড়ে দেয়া হয়। অপর দিকে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভয়ংকর নষ্টামী চলে শহরে গজিয়ে উঠা কতিপয় চাইনিজ বা মিনি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে।এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে ময়মনসিংহের আবাসিক হোটেল গুলোতে।
দেশের এই অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে দিয়েও ময়মনসিংহের কতিপয় চায়নিজ- মিনি চায়নিজ ও আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে অবৈধ কর্মকান্ড। এরা পার্কের নিনিবিলি স্থান ও ছন ক্ষেত মাড়িয়ে উঠে হোটেলে বা চায়নিজ রেষ্টুরেন্টে। নরম মাংসের স্বাদ বা কাম উপলদ্ধিতে কত শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস হচ্ছে তার হিসেব নেই এখানে। এসব কিছুই নিরবে হোটেল মালিকদের সাথে কাঁচা টাকার বিনিময় ধফারফা করছে অসত কতিপয় প্রশাসনের ব্যক্তিরা।
অথচ সেখানে এসব নাটের গুরু হোটেল মালিক কিংবা ম্যানেজারকে আটক করা বা সতর্ক করা হয়নি কোন সময়। ময়মনসিংহে প্রায় ৩০টির মতো আবাসিক হোটেলে এসব অসামাজিক আর অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে দিবা-রাত্র বেলায়। অপর দিকে চায়নিজ বা মিনি চায়নিজে যা চলে তা বলা বাহুল্য। নিরিবিলি কেবিন আর মৃধু আলো যেন কাপড়চোপর নষ্ট করে দেন। এখানে স্কুল কলেজ টাইমে কোমলমতিদের উঠানামা বেশী। হোটেলের ম্যানেজার কিংবা মালিক প্রশাসনের কারো না কারো পরিচয়ে পরিচয়ে বা মাসে মাসে টাকা দিয়ে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে দাপটের সাথে।
ময়মনসিংহে চরপাড়া এলাকায় কয়েকটি হোটেলে,যেমন হোটেল শাকিল, নিরিবিলি, ইউনাইটেড,হোটেল মতিসহ ৮/১০টি হোটেলের এহেন কর্মকান্ডে আবাসিক হোটেল বাজারের পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলেছে বলে সাধারন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। উল্লেখ্য চরপাড়া শাকিল হোটেলের ম্যানেজার ও হোটেল বয়দের বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ।তারা প্রেমিক যুগলদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়ে টাকা হাতে পাওয়া মাত্রই তাদের রুমে ঢুকিয়ে দেয়। এব্যাপারে কয়েকজন আবাসিক হোটেলের দালাল জানান, চরপাড়া এলাকায় কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনে মেয়ে এখানে ধর্ষিত হয়।
এব্যাপারে চরপাড়া এলাকায় এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলেন,চরপাড়া আগে কখনো এধরনের অসামাজিক কাজ হতো না।কিন্তু ইদানিং হোটেলের ম্যানেজার ও বয়দের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছি।এব্যাপারে তাদের সাবধানও করেছি। চরপাড়া বাসী এসব অসামজিক কাজের তীব্র নিন্দা জানান। হোটেলে বা চায়নিজ রেস্টুরেন্টে প্রতিদিনই নষ্টামী চলে। অথচ কোন প্রতিকার নেই।