মোঃকামাল (ময়মনসিংহ )::ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রমেশ সেন রোডের যৌন পতিতা পল্লী। সেখানে প্রায় তিন থেকে চারশত যৌনকর্মীর বসবাস রয়েছে। নগরীর গাঙ্গিনারপাড় এলাকা দিয়ে ঢুকতেই রমেশ সেন রোড, দেয়াল পেরিয়ে গেলেই বহু পুরানো ঠাকুর বাড়ী চোখে পড়বে। দেয়ালের আড়ালে অসহায় নারীর কান্না এই শহরে কেউ শুনেনা।অবশেষে শুনলেন র্যাব-১৪।ময়মনসিংহের রমেশ শেন রোডের নিষিদ্ধ পল্লীর পতিতালয়ের সর্দারনি জহুরার ঘর থেকে এক অসহায় কন্যাকে উদ্ধার করে র্যাব-১৪। জানা যায়, এর আগে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই কন্যাকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে এক খদ্দের বিক্রি করে দেন পতিতা পল্লীতে।
রমেশ সেন রোডের যৌন পল্লীতে সরকারী ভিপি সম্পত্তির উপর দুতলা ভবন নির্মান করে নুরু মিয়ার নারী ও মদের ব্যবসা জমজমাট।
ঠাকুর বাড়ির বন্ধ ঘরের অন্ধকারে কত কি হয় অসহায় মায়ের সন্তানেরা এখানে কাদে কেউ দেখার নেই।
ছিল পৌরসভা হয়েছে সিটি, জেলা থেকে হয়েছে বিভাগ এই নগরীতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। হয়েছে বিভাগ বাড়ছে মানুষ বাড়ছে যানবহন অনেকেই চিনে না এসেছে এই নগরীতে নতুন গাঙ্গিনাপাড়ের রমেন সেন রোডের এই পতিতা পল্লী। অনেক ছেলে মেয়ে ভুলক্রমে প্রায় সময় ভিতরে প্রবেশ করে, গিয়ে দেখে একিকান্ড কোথায় আসলাম লাজ লজ্জা নিয়ে বেড়িয়ে আসে।
আর ক্ষোভের তীর ছুড়ে মারে এই নগরীর সুনামধন্য লোকদের উপর। এমন একটি গুরুত্ব পূর্ন জায়গায় কি করে টিকে থাকে এই পতিতা পল্লী ?
সেই সাথে সন্ধার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে গোপনে জোয়া ,সেই সাথে নর্তকীর নাচ সাথে মদ আর গাজা। অনুষ্ঠান শেষ মাতালরা এক এক করে বেড়িয়ে আসে মা বাবার ১৪ গোষ্ঠীকে অস্লীল ভাষায় বকা বাদ্দ করে মহিলাদের গায়ে ঢলে পরে। মহিলার সাথে আসা পুরুষটি রাগে মতালকে চরথাপ্পর দেয় তাতে মাতাল আরো মাতলামি বেড়ে যায়।
আপনারা শুনলে অবাক হবেন এই নুরু মিয়ার বাড়িতে প্রতিদিন ত্রিশ হাজার করে টাকা উঠানো হয়। নুরু মিয়ার আলিসান বাড়ি বিলাশবহুল গাড়ি তার ছেলেরা প্রতিদিন নিয়ে যায় এখান থেকে মোটা অংকের টাকা। সারা শহর দাপড়িয়ে বেড়ায় দামি মটর বাইকে চড়ে।
কদিন পর পর গাড়ি বদল। হায়রে কপাল কার মার সন্তানকে কোন বাটপারে বিয়ের লোভ দেখিয়ে কিংবা ভাল চাকরি দেওয়ার কথা বলে এখানে এনে করেছে বিক্রি। কদিন পর পর র্যাব পুলিশ উপর মহলের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে ভাল পরিবারের মেয়েরা যদি এখানে থাকে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।আর যার মামা চাচা খালু আছে সেই এখান থেকে উদ্বার হয়ে বেড়িয়ে যেতে পারে। যার কেউ নাই তার কান্না আর চোখের পানি ছাড়া আর যে কিছু নাই। এখানেই শেষ নয় সারা দেশে যখন মাদকের বিশেষ অভিযান চলছে বাদ যায়নি ময়মনসিংহ জেলাও ।বিপুল পরিমান মাদক উদ্বার ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের বন্দুক নিহত হচ্ছে ঠিক তখনি গা ঢাকা দিয়েছে অনেকেই।
নেই মাদক পাগল মাদক সেবীরা কী খাবে তারা তাই ছুটে আসছে মদ খেতে নিষিদ্ধ পল্লীতে। এখানে এখন মদের রমরমা ব্যবসা কুদ্দুছের মদের হিসাব কে রাখবে ,কতগুলো বৈধ আর কতগুলো অবৈধ মদ, নয় পানিই এখন বিক্রি হচ্ছে মদ বলে। কুদ্দুসের মদের ব্যবসা এখন রমরমা। তাইতো বদরুলের বাড়িতে তার একটি পাতানো স্ত্রী। লাভবান বদরুল।ফিটফাট বাবুর মতো বাবু গিরি করে ঘুরে বেড়ায় কুদ্দুসের মদের ব্যবসা দেখাশুনা করে। ৫৭ ধারা মামলা খেয়ে বুক ফুলিয়ে এই শহরে নিজেকে সাধু হিসেবে পরিচয় দেয়।
পরে আরও বিস্তারিত আসছে।