মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টুঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলার কাঁটাখালি গ্রামে ২রা জানুয়ারি এক অজ্ঞাত নারীর মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার হয়।এই রকম হত্যাকান্ড চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করে এবং ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
এই হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করা হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
সময় নষ্ট না করে সাথে সাথেই র্যাব-১৪ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্তে র্যাব-১৪ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে।
র্যাব-১৪ জানায়-বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সেলিম নামে একজনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হয় এবং গত ০৫ জানুয়ারি রাতে সেলিম মল্লিক (৩০) নামে এক জনকে আটক করে।আটক কৃত ব্যাক্তি কাটাখালী এলাকার আব্দুল খালেক এর ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম এই নির্মম, নৃশংস হত্যাকান্ডটি কিভাবে করেছিল সে সর্ম্পকে র্যাবকে অবহিত করে।পরে র্যাব ১৪ তাকে নিয়ে ০৬ জানুয়ারি খন্ডিত মস্তকটি উদ্ধার করে। র্যাব-১৪ মৃতের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
মেয়েটি নাম মোছাঃ সুলতানা বেগম (২৭), পিতা- মোঃ ফুলু মিয়া, মাতা- মোছাঃ মেহেন্নাহার, গ্রাম- তিলকপাড়া, ডাকঘর- শুকরেরহাট (চেংমারী), থানা- মিঠামুকুর, জেলা- রংপুর।
সে গাজিপুরে এক গার্মেন্টসে কাজ করার সুবাদে সেখানেই বসবাস করত। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেলিমের সাথে পরিচয় এবং একটা পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয় এবং প্রায়শই তাদের দেখা হতো।
সেলিম জানায় মৃত সুলতানা প্রেমের সূত্র ধরে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিত। সেলিম এই বিয়ের বিষয় হতে মুক্ত হতে পরিকল্পনা করে সুলতানাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।এবং বিয়ের কথা বলে তাকে কাটাখালী নিয়ে আসে।সারাদিন এখানে সেখানে নিয়ে ঘুরে বেরায় এবং রাতে সুলতানাকে নির্মম, নৃশংসভাবে হত্যা করে।লাশের পরিচয় গোপন করতে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে একটা ডোবায় লুকিয়ে রাখে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়।