স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের শিল্পাঞ্চল খ্যাত ভালুকায় জমিদখল, চাঁদাবাজি প্রতিবাদকারীদের মারধর ছাড়াও নানান অপ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই,ভাগ্নে বাহিনী । নেপথ্যে থেকে এসব করাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ।
গরীব অসহায়দের জমি দখলসহ অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তৈরি আছে, ক্ষোদ উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আবুল কাশেম, তার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ও নোমানগং। অপকর্মে যোগান দিতে পাশ্ববর্তী গফরগাঁও থেকে ভাড়ায় আনা হয় সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে এই বাহিনী দিয়ে শায়েস্তা করা হয়। অনেকেই অত্যাচারে প্রাণ বাঁচাতে নিজস্ব বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। যারা যায়না তারা হামলা ও মামলার শিকার হয়ে কেউ থাকেন পালিয়ে, কেউ নানা হয়রানির শিকার হন ।
এসব করে বাহিনীর প্রধান এবং নিকটরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনে গেছেন টাকার কুমির । ভালুকার সিডস্টোর এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম গত ২২ মে তাদের বিরুদ্ধে এহেন কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে নিজ বাড়িতে সংবাদ সন্মেলন করেন । অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ভাই ভাগ্নেকে দিয়ে শরিফুল ইসলামের ৩৭ শতাংশ জমি বেদখলের চেষ্টা চালায় । জমি বেদখল দিয়ে বাড়িতে হামলা , পরিবারের লোকজনদের মারধর করে । নিরুপায় শরিফুল ইসলাম ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে জানায় ।
পুলিশ ঘটনাস্থল এলে কৌশলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা । এই বাহিনী গত বছর মাষ্টারবাড়ি এলাকায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর জমি রাতের আঁধারে দখল করতে এসে টহলরত র্যাব সদস্যদের হাতে আটক হয় । জমির টেনশনে অনেকেই স্ট্রোক করেন। বাহিনীর ভয়ভীতি মোকাবিলা করেই এখনো জমিতে বসবাস করছেন তারা। ভালুকা থানা পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য গেলে অসহায়ের মত ফিরে আসে । থানায় প্রবেশের আগেই তারা শুনেন যে, নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কলাম আজাদের বাহিনী তারা । তাদেও কাছে রক্ষা ইেন সাধারন মানুষ । ভালুকা থানা পুলিশ তাদের কাছে অসহায় । দখল ও চাঁদাবাজদের মদদদাতা যখন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান । ভালুকার অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে।
গভীর রাতে এমনকি দিনে দুপুরে দেশীয় অস্ত্রসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মহড়ায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। সরকারী দল আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই ভাগ্নে ও তাদের বাহিনীর কর্মকান্ডে উদ্বিগ্ন তারা । ভালুকা শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখন জায়গার দাম বেড়ে যাওয়ায় দৃষ্টি এখন তাদের জমিদখলের দিকে ।
অভিযোগ রয়েছে, নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত দাবি করে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সম্প্রতি পুলিশকে দুর্নীতিবাজ দাবি করে সোস্যাল মিডিয়ায় ময়মনসিংহ – ঢাকার হাইওয়ে রাস্তায় অপপ্রচার করেন ।
আবার ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হলে থানা পুলিশকে ব্যবহার করেন । তাদের নামে মামলা করে হয়রানি করেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমি দখল সত্য নয় । ভাই,ভাগ্নে কিনেছে । প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে ।