মোঃ নাজমুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ ভালুকায় ভরাডোবা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাংচাপড়া বাজারে সরকারি বরাদ্দের সোলার সড়ক বাতিগুলো দিনের পর দিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বাতিগুলো মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের কোন খবর নেই লাগানোর পর থেকে।
ভালুকায় রমজান মাসে ভয়াবহ লোড শেডিং ও আসছে বর্ষাকালে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যু থাকে না ঘন্টার পর ঘন্টা। এসময় বাজারে ঘন-অন্ধকার নেমে আসে নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকারি বরাদ্দের সোলার বাতিগুলো বিগত এক বছর আগে রাংচাপড়া বাজারে লাগানো হয়েছে যাতে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থাও বাজারের নিরাপত্তার জন্য বাতিগুলো আলো দেয়। কিন্তু বাতিগুলো লাগানোর কয়েকমাস পর থেকেই রাতের বেলায় বাতিগুলো জ্বলতে দেখা যায়না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এক ব্যবসায়ি বলেন, আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাংচাপড়া বাজার সমিতির নেতাদের জানিয়েছি কিন্তু প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ভালুকা-গফরগাঁও সড়কটি বর্তমানে দুই লেনে উন্নতি হওয়ার পর থেকে এ রোডে চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেছে। রাংচাপড়া বাজারে প্রায় ৪০ টির বেশি ছোট-বড় দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে! সোলার বাতিগুলো অকেজো হওয়ায় রাতে যখন বিদ্যু চলে যায় তখন চারদিকে ঘন অন্ধকার নেমে আসে এতে ব্যবসায়ীরা আতংকে থাকেন। কিন্তু সোলার বাতিগুলো যখন জ্বলতো তখন রাতের বেলায় বিদ্যু চলে গেলেও আশপাশ আলো দিতো চুরি-ডাকাতি ভয় অনেকটাই কম ছিলো।
এ বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন হলো এতো টাকা খরচ করে ভরাডোবা ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারে ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে এমন সোলার বাতি লাগানো হলেও বর্তমানে প্রায় সবগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ বিষয়ে দেখার বা সোলার বাতিগুলো মেরামত করার দায়বার কে নেবে?
সুদৃষ্টি কামনা করছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সালমা খাতুন ও প্রশাসনের যাতে দ্রুততম সময়ে ভালুকার প্রতিটি বাজারে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে এমন অকেজো সরকারি বরাদ্দের সোলার সড়ক বাতিগুলো মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।