নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুলবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো: আশরাফুল ইসলাম শাহীন। তিনি বর্তমানে ফুলবাড়িয়া উপজেলার ২নং পুটিজানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একের পর এক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেই চলছেন আশরাফুল ইসলাম শাহীন। শাহীনের এহেন কর্মকান্ডে বিব্রত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, বেপরোয়া স্বেচ্ছাসেবক নেতা আশরাফুল ইসলাম শাহীন গত ইউপি নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করার পাশাপাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহানকে মারধর করা হলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে কোন প্রকার শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শাহীন । সাম্প্রতিক সময়ে শাহীনের নেতৃত্বে আল-আমিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট ফাইনাল খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয় বিগত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহকে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এনামুর রহমান রবিকে উদ্ধোধক হিসেবে রাখা হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুর রহমান রবিকে উদ্ধোধক করায় এবং প্রধান অতিথি না করায় পুটিজানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টিকে অপমানজনক হিসেবে দেখছেন। তার এহেন কর্মকান্ডে বিব্রত পুটিজানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পুটিজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ময়েজ উদ্দিন তরফদার বলেন, আশরাফুল ইসলাম শাহীন কখনো আওয়ামী লীগ করেছেন কিনা আমার জানা নেই। আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবসময় আওয়ামী লীগ বিরোধী থাকে। এই বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুর রহমান রবি সাহেবের কাছে জানতে পারেন। তিনি ভালো বলতে পারবেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুর রহমান রবির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা স্থানীয় খেলা এবং চাঁদা উত্তোলন করা হয়। যারা বেশি চাঁদা দেয় তাদেরই প্রধান অতিথি করা হয়ে থাকে। আর অনুষ্ঠানের দিন এমপি মহোদয় আমার ইউনিয়নে আসায় আমি আগেই জানিয়েছিলাম যে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবোনা। যেখানে আমি যাবনা আগেই বলে দিয়েছি সেখানে আমার এটা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। তারপরও আমার নাম সবার উপরই রেখেছে। আর এমন প্রোগ্রাম করলে সবারই ভুল হতে পারে। আপনি প্রোগ্রাম করলে আমরা আপনারও ভুল ধরতে পারবো। নির্বাচনে বিরোধিতা করা প্রসঙ্গে এনামুর রহমান রবি বলেন, এমপি নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফরুল্লাহকে হারিয়েছেন। তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও। আর জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য থাকার পরও তাকে দুইবার হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাই রাজনীতি করলে এসমস্ত বিষয় নিয়ে চিন্তা করা যাবেনা।