আব্দুল কাদের আকন্দ,আঞ্চলিক প্রতিনিধ ঃ ময়মনসিংহে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কাহালগাঁও গ্ৰামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত ০৩/০৬/২৩ শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মারজাহান আক্তার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারজাহান আক্তার কে উদ্ধার করে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও নির্যাতনের শিকার নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কাহালগাঁও গ্রামের সজিব( শরিফ) মিয়া এর সঙ্গে একই উপজেলর রাঙ্গা মাটিয়া ইউনিয়নের আনুহাদী গ্রামের মোঃ মোবারক আলীর মেয়ে মারজাহান আক্তার এর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জামাতাকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য নব বধুকে চাপ দিতে থাকেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। এক পর্যায় বিদেশের জন্য ৪,০০০০০ টাকা জামাতাকে দিয়ে বিদেশে পাঠান মারজাহান বাবা মা। তাতেও শান্ত হয়নি স্বামী সজিব মিয়া বার বার তার স্ত্রী কে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় , যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী শরিফ মিয়া তাঁর, মা ও বাবার সহায়তায় স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতেন।গত ৩ জুন মারজাহান কাছে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সজিব মিয়া মারজাহান কে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে।আর টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে মারজাহান কে মারধর করে আহত অবস্থায় ঘরে বন্ধ করে রাখেন তাঁরা।মারজাহানের মা শিল্পী আক্তার অভিযোগ করে বলেন,গত শনিবার ফের যৌতুকের টাকা দাবি করেন তাঁরা। আর টাকা দিতে পারবে না জানিয়ে দিলে মেয়েকে বেদম মারপিট করেন সজিব মিয়া (শরিফ) ও তাঁর বাড়ির লোকজন।
শনিবার তার মা মারধর ধর খবর পেয়ে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ সাথে নিয়ে গিয়ে মারজাহান কে উদ্ধার করে পুলিশ । মারজাহান বলেন, ঝগড়ার একপর্যায়ে পরিবারের সবাই মিলে মারজাহান কে লাঠি দিয়ে মারধর করেন, সজীব মিয়া (শরীফ) তার স্ত্রীর গোপন জায়গায় বেদর মারপিট করেন এবং মেয়েকে ঘরে আটকে রাখেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ীয়া থানার এ এস আই আমিনুল ইসলাম মারজাহান কে ঘাতক সজিবের কাছ থেকে উদ্ধার করে। পরে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।
আহত মারজাহান বলেন, ‘বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী সজিব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধর করেন। শুশুর ও শাশুরি কথামতো যৌতুকের টাকা দাবি করেন। দুই টি শিশু আছে। সন্তানের কথা চিন্তা করে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
মারজাহানের মা বলেন, ‘মেয়ের সুখের কথা ভেবে কয়েকবার অনেক কষ্টে টাকা দিয়েছি এক বার বিদেশেও পাঠিয়ছি আমাদের টাকায়। আমরা গরিব মানুষ। আর কত টাকা দিতে পারি?
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।ফুলবাড়িয়া থানার এস আই হানিফ জানান, ওই গৃহবধু অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়ী থেকে আমরা উদ্ধার করছি । তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।