ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃঃ আলোচিত মিতু হত্যার রহস্য উদঘাটন করল ময়মনসিংহ পিবিআই।গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন মধ্য বালিপাড়া সাকিনস্থ কামারিয়াপুল নামক স্থানে রেল লাইনের পাশের ডোবায় মিতুর (২৫) মৃত দেহ পাওয়া যায়।প্রথমত লাশটি অজ্ঞাত ছিল, পিবিআই এর নিজস্ব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেয়েটির পরিচয় শনাক্ত করে।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানা অজ্ঞাতনামা আসামি করে ত্রিশাল থানার মামলা নং-৩৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ধারা-৩০২/৩৪ রুজু করে। থানা পুলিশ তদন্তকালে গত ২০ এপ্রিল পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে ।
মেয়েটির নাম সাহেরা আক্তার মিতু, ২ সন্তানের জননী। সে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরের পর তার স্বামির বাড়ি লাহাপাড়া, সোনারগাঁও, নারায়নগঞ্জ হতে নিখোঁজ হয়। তার আত্মীয় স্বজন অনেক খোজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি।
পিবিআই তদন্তকালে ত্রিশালের বালিপাড়া সাকিনস্থ আবুল কালামের ছেলে মোখলেছুর রহমানকে গ্রেফতার করে।আদালতে প্রেরন করার পর সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে প্রকাশ করে যে, সে তার সহযোগীদের নিয়ে মিতুকে প্রলোভন দিয়ে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে নিয়ে আসে।
সেখান হতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে সেভেন-আপ ট্রেনে রাত্রী অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় ত্রিশালের ধলা স্টেশনে পৌছে। তারপর আসামিরা সকলে মিলে অনুমান ১ কিঃমিঃ দূরে রেল লাইনের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে মিতুর হাত ও মুখ বেধে গণধর্ষণ করে। আরো ধর্ষণ করার লক্ষে মেয়েটিকে পুনরায় অন্যত্র নিয়ে যাবার সময় মেয়েটি জীবন রক্ষার্থে দৌড় দিলে আসামিরা পিছন থেকে রেল লাইনের পাথর দিয়ে মিতুর মাথার পিছনে আঘাত করে। ইহাতে মিতু তাৎক্ষণিক পড়ে যায়। তখন আসামিরা তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে রেল ব্রিজের নিচে ডোবার কাঁদা পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়।