কামরুজ্জামান মিনহাজ :: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে হাসপাতালে রোগিদের চরম ভোগান্তিও হয়রানির শিকার হচ্ছে। সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে সেবা দিতে সরকার প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা খরচ করলেও পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে ত্রিশাল উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। হাসপাতালের দালাল, ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের কারনে প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেনা রোগিরা।
ত্রিশাল উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্যকমপ্রেক্সে হাসপাতালে ৩৩ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও এখানে রয়েছে ৯ জন ডাক্তার। তার মধ্যে নিয়মিত পাওয়া যায় তিন থেকে চারজন ডাক্তারকে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কোন রোগী আসলে তাদেরকে চিকিৎসা না দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ময়মনসিংহে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ত্রিশাল হাসপাতালের সামনেও উপজেলা সদরে রয়েছে বেশ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ডাক্তাররা প্রতিনিয়ত এখানে পরীক্ষার জন্য রোগিদের প্রেরন করে থাকেন আর দালালচক্র রোগিদের ফুসিয়ে তাদের পছন্দ মত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। হাসপাতালে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষার সুবিধা থাকার কথা থাকলেও বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ।
মেডিকেল এসিন্ট্যান্ট ও ডেন্টাল টেকনিশিয়াম দ্বারা বহির বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয় বেশির ভাগ সময়। এক শ্রেনীর অসাধু কর্মচারীদের যোগ সাজশে বাহিরের ডায়গনষ্টিক সেন্টারগুলোতে পাঠানো হয়।স্বাস্থকমপ্লেক্সে ডাক্তারদের সকাল ৮.৩০ থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও অনেকেই সঠিক সময়ে উপস্থিত হচ্ছেন না। কিন্তু সেই সরকারী নির্দেশনাকে অমান্য করে তারা প্রতিদিন হাসপাতালে তাদের ইচ্ছে মত আসা যাওয়া করছে। তড়ি ঘড়ি করে ডিউটি শেষ করে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। ডাক্তাররা রোগি দেখার সময় ্ঔষধ কোম্পানীর লোকজন ভিড় জমিয়ে ডাক্তারদের সাথে গল্প করতে দেখা যায় এবং তাদের পছন্দ মত প্রেসক্রিপশন করতে দেখা যায় অনেক ডাক্তারকে। এ হাসপাতালে রোগিদের খাবার ও নাস্তা দেওয়া হয় ন্মিমানের। প্রতিদিনের খাবারের মেন্যু থাকলেও সেসব ভর্তিকৃত রোগিদের মাঝে দেয়া হচ্ছেনা ভেজাল মুক্ত খাবার। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগিদের সংখ্যা কম থাকলেও তাদের বিলবোর্ড এ রোগির সংখ্যা লেখা হচ্ছে দ্বিগুণ। হাসপাতালে আলট্রা মেশিন থাকলেও রোগিদেরকে বলা হয় হাসপাতালে আলট্রা করা হয় না ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রবিবার সকালে সরকারী প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ ছিলো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ফকির জানান, আমি নিজেও রোগিকে পাঠিয়েছিলাম রক্ত ও প্রসাব পরিক্ষা করার জন্য। কিন্তু চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছে। অন্যদিকে, এক্সরে মেশিন ভাল থাকলেও প্রায় সময় এক্সরেরুম বন্ধ থাকে। রোগিদেরকে পাঠানো হচ্ছে বাহিরে। যেখানে সার্বক্ষনিক স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ই.সি.জি. করার কথা কিন্তুু সেখানেও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা রোগিরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। সিজারের যন্ত্রপাতি থাকলেও ডাক্তর না থাকায় করা হচ্ছেনা অপারেশন। কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা ফুসলিয়ে তাদেরকে প্রেরণ করছে কমিশনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টরে। ডেলিভারি কোন রোগি হাসপাতালে গেলে জরুরী অবস্থায় জেলা সদরে যাওয়ার জন্য এম্বুলেন্স গাড়ি ঠিকমত পায়না অসহায় সাধারন রোগিরা। হাসপাতলের সামনে দাড়িয়ে থাকে মালিকানাধীন সি এন জি ও প্রাইভেট গাড়ি। রোগিদের লোকজন বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে বহিরাগত গাড়ি দিয়ে রোগিদেরকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে। বিনামুল্যে ত্রিশাল হাসপাতালে ৪২ প্রকারের ঔষধ
রোগিদেরকে দেওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে, প্যারাসিটামল, এন্টারসিড, হিষ্টারসিন,জাতীয় ট্যাবলেট।ভোক্তভোগি আনোয়ারা জানান, আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে সকালে চেলেরঘাট থেকে আইছিলাম হাসপাতালে ডাক্তার দেখাইছি হাসপাতালে ্ঔষধ নাই অভিযোগ আছে বাচ্চাদের ঔষধের ক্ষেত্রে বাহিরের ঔষধ লিখে দেওয়া হয়্।ফার্মেসী থেকে ্ঔষধ কিনে বাড়িতে যাইয়ামগা।আরেক জন রোগীর অভিভাবক জানান, বড়মা
কাকচর থেকে আসছি ছানীকে নিয়ে হাসপাতালে সকালে ডাক্তার ছিলনা এখন বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাইছি বাচ্চার ঔষধ হাসপাতালে পেলাম না দোকান থেকে কিনে বাড়িতে চলে যাইয়াম। উপজেলা স্বাস্থ্য ওপরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ফকির জানান, হাসপাতালে ৩৩ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও এখানে রয়েছে ৯জন ডাক্তার। সকল ঔষদ সরবারাহ না থাকায় রোগিদের মাঝে দেওয়া হচ্ছেনা। অন্য বিষয় গুলো খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।এব্যপারে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন আব্দুর রউফ মোবাইলে তার বক্তব্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। সূত্র: অপরাধ সংবাদ।