স্টাফ রিপোর্টারঃঃ বৃহত্তর ময়মনসিংহের ত্রিশালে গত ৫ বছর আগে থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বর্তমান জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান কারী ত্রিশাল আওয়ামীলীগের বর্তমান উন্নয়নের প্রাণভোমরা মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ। লেখাটা অতি রঞ্জিত মনে হলেও কিছু করার নেই আপনার মনে সাই না দিলে পর্যবেক্ষন করে দেখতে পারেন । কারণ মেয়র আনিছ এখন দলমতের শেষে অবস্থান কারী গণমানুষের প্রতিনিধি। যাকে বার বার অপচেষ্টা করেও দাবাতে পারেনি। মানুষের ভালবাসা আর বিশ্বাস তাকে দুই বার প্রতিনিধির আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর তার সুবাতাস পৌরবাসী ভোগকরছে। কিন্তু কথা হলো এই সুবাতাসটা কারো কাছে কুবাতাস হয়ে গেছে।এখন প্রশ্ন আসতে পারে বাতাসটা কি ? তা হলো উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা ।আর এ জনপ্রিয়তা ও উন্নয়নটা তাদের কাছে কুবাতাস যারা এতদিন উন্নয়নের দাবি করে তা কাউলা করে নিয়ে ছিল।
প্রথম বার দলীয় সমর্থন নিয়ে পৌরনির্বাচনে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন মেয়র আনিস।পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে পৌরসভার হালধরেন তিনি তার সফল পরিচালনা দিনাক্রম অনুসারে উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে সমান পরিসরে। তার রাজনৈতিক জীবনের অগ্রযাত্রায় আরো এক ধাপ যোগ হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে এগিয়ে যেতে থাকেন আওয়ামি লীগ সরকারের উন্নয়নের রুপরেখাকে সফল করতে।তার উন্নয়নের ধারা এতটাই ক্ষিপ্রগতি সম্পন্ন ছিল যে বিগত সকল পৌরপ্রতিনিধিদের ছাপিয়ে যান তিনি। জনপ্রিয়তা পৌরসভার গোন্ডি পেরিয়ে সারা উপজেলায় তার নাম সকলের মুখে মুখে।
রাজনৈতিক গ্রুপিং প্রতিহিংসায় গত পৌর নির্বাচনে একটি মহল মেয়র আনিছকে কোণঠাসা করতে পৌরসভার মনোনয়ন না দিতে দলীয় প্রধানের কাছে ভূল তথ্য দেন যার ফলে মেয়র আনিছুজ্জামানকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেয়নি। রাতে বাড়ি ফিরে এসে বলেন দল মনোনয়ন দেননি, অপেক্ষমান হাজার হাজার সমর্থক তা মেনে নেয়নি। তারা নিজেদের উদ্যোগে হাজার হাজার নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে মেয়রকে নির্বাচন করতে বাধ্য করেন এবং বিদ্ধমান নানা প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। কুমন্ত্রনাকারীরা হেরে যায় মেয়র আনিছের জনপ্রিয়তার কাছে। আগের চেয়ে বেশী ভোটে ২য় বারের মত স্বতন্ত্র ভাবে পৌরপিতার ভুমিকায় অধিষ্ঠিত হয় তিনি। মেয়র নির্বাচিত হয়ে আবারো উন্নয়নের পসরা সাজিয়ে বসেন তিনি ।যা দেখে কুচক্রীমহলের মাথায় বাজ আবারো লেগে আছে কি ভাবে দলের বাইরে রাখা যায় এই জনপ্রিয় মেয়রকে।
নিজের অবস্থান ঠিক রেখে পৌরউন্নয়নের কুল ছাপিয়ে জেলার শ্রেষ্ট মেয়রের পদক অর্জন করেন এই পরিশ্রমী মেয়র। এই পদক আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে রুলমডেল। যা এই সরকারের মুখ উজ্জল করেছে সফল করেছে উন্নয়নের রুপ রেখা।
গত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র আনিছকে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ছিটকে ফেলতে একটি কুচক্রী মহল তার জনপ্রিয়তাকে বিশোধগার করে ভূল মন্ত্র পাঠ করেছিলেন দলীয় প্রধানের কাছে। তারই চর্চা এখনো বিদ্ধমান যে, ত্রিশালের মেয়র দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে নির্বাচন করেছে অথচ একজন ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাকে বাইরে রেখে ত্রিশাল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে যে ভয়াবহ মিশনের অবির্ভাব করছে তা আগামী সময় ত্রিশাল আওয়ামী লীগের কি পরিমান মূল্য দিতে হবে তা এখনই ভেবে বা ক্ষতিয়ে দেখার অহ্বান দলীয় প্রধানদের।
সৈরাচার সরকারের পতনে রাজপথের রাজনৈতিক অবস্থার খবর হয়ত অনেক প্রতিষ্ঠিত নেতাদের নেই ।কেউ দেশের বাইরে থেকে কেউ দেশের অন্য প্রান্তথেকে বা দলীয় সিদ্ধান্তে অন্য দলের কেউ এখানে রাজনৈতিক জীবনের নতুন বীজ বোপন করেছেন। আর মেয়র আনিছরা তাদের সফলতার জন্য জীবন বাজি রেখে রাত দিন পরিশ্রম করে সফলতা এনে দেয়ার পর আনিছরা আর ভালো থাকে না। যখনই আনিছরা তাদের রাজনৈতিক জীবনের প্রতিফলন ঘটাতে চান তখনি একদল প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক চক্রের শিকারে পরিনত হন।কিন্তু নিজেদের সফলতা হাছিলে আনিছদের ব্যবহার করতে ভূল করেন তারা। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আজ পর্যন্ত যত আওয়ামীলিগের সংসদ নির্বাচিত হয়ে এসেছেন যারা তারা কেউকি বলতে পারবে না মেয়র আনিছের অবদান নেই। ঐ সব কুচক্রীমহলের অনেক তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্ধমান ।
আমার কথা হলো আওয়ামী লীগ কি শুধু কথাই বলে ? আমরা সারাদেশে জনগনের আস্থা ও ভালোবাসাকে জরিপের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাদের মনোনয়ন দিয়ে থাকি।কোথায় আপনাদের জরিপ, কেন ত্রিশালের মানুষ তার সফলতা পাচ্ছেনা নাকি আবার পকেট ?
মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ ত্রিশাল আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের সন্তান। তিনি সাবেক থানা ছাত্রলীগ যুগ্ম আহবায়ক , উপজেলা যুবলীগের একাধারে ১৮ বছরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও দু’বার নির্বাচিত সফল ও শ্রেষ্ঠ পৌরমেয়র। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে দলের প্রয়োজনে মেয়রকে মূল্যয়ন করা উচিৎ।পাশা-পাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে তৃর্ণমূল নেতাদেরকে সু-সংগঠিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত করানো যা হবে আগামী প্রজন্মে ত্রিশালে শক্তিশালী এক আওয়ামীলীগ। (আপডেট) চলমান……….
বিশেষ দষ্টব্য- আসছে ত্রিশালের সকল রাজনৈতিক নেতাদের অবদান নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।