ত্রিশালে ব্রক্ষপুত্র খনন নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মাদানী

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ শুকনো মৌসুমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খনন কাজ শুরু হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননের কাজটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প থেকে জানা যায়, পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননের উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা বছর যাতে এ নদে নাব্যতা বজায় থাকে এবং সারা বছর যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করতে পারে। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে যাতে ব্রহ্মপুত্র নদ ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রেরমোট ২২৭ কিলোমিটার অংশ খনন করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ দিকে নদী খনন নিয়ে চলছে বিভিন্ন জায়গায় বাধাঁ।

ত্রিশাল কালির বাজার এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে কালী বাজার স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ সমাবেশ আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। কালীবাজার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আ.হ.ম শহিদুল্লার সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব রুহুল আমীন মাদানী এম.পি।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ফজলে রাব্বি, ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাত,কালী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তরুণরাজনীতিবিদ জাহাঙ্গীর তরফদার,আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ সময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য আলহাজ্ব রুহুল আমীন মাদানী এম.পি বলেন, কিছু দিন আগে এ রকম ধাকাধাক্কি করে বিমানবন্দর হারিয়েছি। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন।আমাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন।

পুরানো ব্রক্ষপুত্র নদী খনন করলে আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। যেদিক দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ঠিক সেই দিক দিয়েই নদী খনন হবে। খাস খতিয়ান দিয়েই যাবে অন্য দিক দিয়ে যাওয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে এ ব্যাপারে মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সূত্র মোমেনশাহী