ত্রিশালে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে দুর্ভোগে সাধারন জনগণ

এইচ.এম জোবায়ের হোসাইন:: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও পেনশনের দাবীতে সারাদেশের পৌরসভার কর্মচারীদের আন্দোলনে রয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। আন্দোলনে অংশ নিয়েছে ত্রিশাল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। তাদের কর্মবিরতির ফলে পৌরশহরের অলিগলিতে জমেছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। রাতের বেলায় জ্বলছেনা পৌর শহরের সড়ক বাতি, বন্ধ রয়েছে পানি সাপ্লাই। এতে করে একদিকে বাড়ছে জনদুর্ভোগ আবার অপরদিকে নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী।

রাজস্বখাত থেকে বেতন প্রদান ও পেনশনের দাবিতে সারাদেশে পৌরসভার কর্মচারীরা ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ত্রিশাল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের এ যৌক্তিক দাবী আদায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছি, নাগরিকসেবায় যেনো ভোগান্তি না হয় তাও বিবেচনা করেছি, এখন আমাদের আর কোন পথ নেই। দাবী আদায়ে আমরা আন্দোলনে আছি।

কর্মবিরতি পালন করায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ সব নাগরিক সেবাও বন্ধ রয়েছে। পৌর শহরের মোড়ে মোড়ে, বাজারের গলিতে কয়েকদিনের ময়লা আবর্জনার স্তুপ লক্ষ করা গেছে। আবার ময়লা আবর্জনার দুর্ঘন্ধও ছড়াচ্ছে।

পৌর শহরের সড়ক বাতিগুলো না জ্বলানোর ফলে বাজারে সন্ধার পর দোকানের আলো ছাড়া অন্য কোন আলো দেখা যায় না, আবার বাজারের পাশে পৌর সড়কগুলো অন্ধকারে রূপ নেয়। পথে পথে ময়লার স্তুপ, রাতে সড়কবাতি না জ্বালা, জন্মনিবন্ধন সনদ না পাওয়ায় পৌরবাসীও পরেছে বিপাকে।

বুধবার জন্মনিবন্ধনের জন্য আসা আব্দুল্লাহ জানান, ৫/৬ দিন যাবত জন্মনিবন্ধনের জন্য ঘুরে যাচ্ছি, নতুন ভোটার তালিকা করবো বলে কিন্তু জন্মনিবন্ধনই পাচ্ছি না, ভোটার হবো কেমনে।

আন্দোলনরত ত্রিশাল পৌরসভার কর্মচারীরা জানান, সর্বনিম্ন ২মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭২ মাস পর্যন্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়া রয়েছে, শত শত কর্মকর্তা কর্মচারী বিনা টাকায় পেনশনে গেছেন, তারা কোন টাকা পায়নি। এমন মানবেতর জীবন আর কতদিন? তারা আরো জানান, বছরের পর বছর পৌরবাসীকে রোদ ঝড় বৃষ্টিতে সেবা দিয়ে মাস শেষে তাদের বেতনের খবর থাকে না, চাকরি শেষে পেনশন পান না। আমরা বেতন ভাতার জন্য আন্দোলনে আছি। এর জন্য যে কষ্ট করছে পৌরবাসী তার জন্য আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই করার নেই।