ইমরান হাসান বুলবুলঃঃ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন ত্রিশাল পৌর এলাকা সহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের মানুষ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই এ সময় সর্দি-জ্বর বেড়েছে বলে চিকিৎসকদের ধারণা । কিন্তু এই অবস্থায় তাদের মধ্যে ভয় থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই। উল্লেক্ষ্য যে করোনা মহামারির এই সময়ে সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দিলে অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
তবে এ সময় বিষয়টিকে অবহেলা করলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকেরা। করোনার সংক্রমণের ভয় থাকলেও ঝামেলা ও বিড়ম্বনার ভয়ে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা। তাই রোগীরা দ্বারস্থ হচ্ছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের। তাদের অনেকেই পল্লী চিকিৎসকের দেয়া ওষুধে ভালো হচ্ছেন বলে হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন না। আবার অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালে বহির্বিভাগে।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, বাজারের ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি বেড়েছে প্যারাসিটামল জাতীয় নাপা, নাপা-এক্সটা, হিস্টামিন ও দামী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের। অনেকেই আবার হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই আবার লকডাউনের কারণে যেতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, হাসপাতালে গেলেই সমস্যার সাথে ভয়ও করে গেলেই করোনা টেস্ট দিবে। তাই আর যাওয়া হয়না। তাই এখন অনেকটাই পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ এনে খাচ্ছি। ত্রিশাল উপজেলার ওষুধ বিক্রেতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তারা জানান, সর্দি-কাশি-জ্বরের ওষুধ বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গেছে। এ ধরনের বেশিরভাগ রোগী বা রোগীর স্বজন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে তাদের কাছে এসে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।
ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ত্রিশাল উপজেলায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৭০ জনের শরীরে এবং মারা গেছেন তিনজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, ত্রিশালে করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। করোনার ভয়ে অনেকেই নমুনা দিচ্ছে না। নমুনা দিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের পরিমাণ আরও বাড়ার আশংকা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে এবং অসুস্থদের করোনা টেস্টের আওতায় আনতে উৎসাহিত করা হবে।