মোঃজিয়াউল হক,শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার সহযোগী মোশারফ(৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে
র্যাব। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার চালাবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মানিককুড়া গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে।
র্যাব জানায়, ভিকটিম শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার পশ্চিম মানিককুড়া গ্রামের দিন মজুর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। একই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মো. মোশারফ হোসেনের বসত বাড়ীতে তার মেয়ের সাথে ভিকটিম খেলা করছিল। মোশারফ হোসেনের মেয়ে খেলা শেষে ঘরে চলে যায় এবং তার স্ত্রী রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে। সেই সুবাদে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সু-পরিকল্পিতভাবে কৌশলে তার গোয়াল ঘরে নিয়ে যায়। ওই গোয়াল ঘরে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা ঝিনাইগাতী সদরের আব্দুস সামাদের ছেলে আরাফাত ফয়সাল এবং মোশারফ হোসেন যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশে ভিকটিমকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম ভয়ে কান্না-কাটি ও চিৎকার করলে তারা ভিকটিমকে ছেড়ে দেয়। ভিকটিম বাড়ীতে চলে যায় এবং ভয়ে পরিবারের কারো সাথে এ ঘটনার বিষয়ে গোপন রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিম অসুস্থবোধ করলে কোন কিছু বলতে না চাইলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে উক্ত ঘটনা জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফাকরাবাদ গ্রামের এক নার্সের কাছে চিকিৎসা নেয়। এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধাঁমাচাপা দিতে মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে কিছু লোক ভিকটিমের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় ভিকটিমের চাচা ৯৯৯ এর মাধ্যমে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আরাফাত ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। অপরদিকে ভিকটিমকে থানা পুলিশ কর্তৃক ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমের অবস্থা গুরুত্বর দেখে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা শেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করে। এ ঘটনার পরে আসামী মোশারফ গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।
পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর এবং র্যাব-১, সিপিসি-১, উত্তরা, ঢাকার যৌথ আভিযানে ২৫ আগষ্ট শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ঢাকার দক্ষিণখান থানার চালাবন এলাকা থেকে শিশু ধর্ষণের সহযোগী মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানায় সোর্পদ করে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত মোশারফকে শনিবার দুপুরে শেরপুর আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।