স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (সার্জেন্ট অবঃ) নূরুল ইসলাম আকন্দ (নৌকা প্রতীককে) সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল। তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিধ ড.সামিউল আলম লিটন এর ছোট ভাই।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় বারুয়ামারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মো.মোজাম্মেল হক রাসেল।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সার্জেন্ট অবসরপ্রাপ্ত নূরুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক জাকিদ হাসনাত দোলনের সঞ্চলনায় সংবাদ সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শওকত জাহান মুকুল, দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ দ্বীন ইসলাম ফখরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামীউল আলম লিটন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম রাসেল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল হাসান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রাবেয়া ইসলাম ডলি সহ অন্যান্য নেতৃবর্গ।
এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হক রাসেল নৌকা প্রতীক কে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন বর্জন করলেও বারুয়ামারী কেন্দ্রে নৌকাকে বিজয়ী করানো কতটুকু সম্ভব হবে এনিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে কানাঘুষা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে- বারুয়ামারী কেন্দ্রটি ইউনিয়নের মরহুম সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক সরকারের ঘাটি।তিনি যতবার নির্বাচন করেছেন এই কেন্দ্রের ভোটারদিকে তাকিয়ে ছিলেন, কেন্দ্রটিতে বিপুল পরিমাণে ভোটও পেয়েছেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ফজলুল হক সরকার জীবীত নেই,তবে তার ছেলে নেজামুল হক সরকার আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হক রাসেল ভোট বর্জন করলেও কেন্দ্র ফলাফল কোন দিকে গড়াবে এই নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। অবশেষে বারুয়ামারী কেন্দ্রের ভোট নৌকার দিকে যাবে নাকি সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক সরকারের পুত্র নেজামুল হক সরকারের আনারস প্রতীকের পক্ষে থাকবে এনিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে।