ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৮নং ডৌহাখলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শহিদুল হক সরকার ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ কাইয়ুম অভিযোগ করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে বাধা, পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন ছিরে ফেলা, নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া এবং তার কর্মীদের উপরহামলাসহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে শনিবার ১১ই ডিসেম্বর তিনি উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ কাইয়ুম।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ কাইয়ুম জানান-তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন সদস্য । তবে স্থানীয় ভোটারদের দাবীর প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচনে ডৌহাখলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল হক সরকার নৌকা এবং এম এ কাইয়ুম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন প্রায় ২৮ হাজার ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ কাইয়ুমের অভিযোগ, প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার লোকজন প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মী-সমর্থকদের মারধরসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সর্বশেষ শনিবার সকালে ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে তার পোষ্টার টানাতে গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্দেশে তার কর্মীকে মারধর করে, বিদ্রোহী প্রার্থীর ছোট ভাই ও তার মা ঘোড়া প্রতীকের ভোট চাইতে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে তাদের কে হুমকি দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীসমর্থকরা।তিনি অভিযোগ করেন তার কর্মীদের কে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার কর্মীসমর্থকরা। ইউনিয়নের ডৌহাখলা স্কুল মোড় ও কাজিরঘাট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্র করতে চাইলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার কর্মীরা সেখানে কেন্দ্র করতে দেয়নি। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর হাত থেকে হ্যান্ডবিল কেড়ে নেন। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ করেন এম এ কাইয়ুম।
এ ব্যাপারে জানতে গণমাধ্যম কর্মীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহিদুল হক সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে বলেন আমার এখন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নেই এবং তিনি কোন সাংবাদিক এলাউ করেন না বলেও জানান।
এদিকে ডৌহাখলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শহিদুল হক সরকার ক্ষমতার দাপটে নির্বাচনী আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করায় আচরণ বিধি লঙ্গনের অপরাধে গত ৯ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ডৌহাখলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল হক সরকারকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে-ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামিলীগ মনোনীত প্রার্থী বগত পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের সময় সরকারী বরাদ্ধ থেকে জনগণকে দুরে রাখায় ও জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ব্যার্থ হওয়ায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থী হলেও জনগন তাকে বয়কট করে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছে।এতে তিনি নিশ্চিত পরাজয় আচঁ করতে পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা,কর্মীদের হুমকি এমনকি ভোটারদেরকেও কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন।যে কোন মুল্যে তিনি বিজয় ছিনিয়ে নিবেন এমন আলোচনাও চুনা যাচ্ছে লোকমুখে। জানা গেছে-ইতিপূর্বে দায়িত্বে থেকে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্ণীতির কারণে একাধিক বার বিভিন্ন সংবাদপত্রের শিরোনামও হয়েছেন তিনি।