গফরগাঁওয়ের ৪ গ্রামের ৮শ’ মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইডি নাম্বার নিয়ে প্রতারনা,আটক-১।

গফরগাঁও প্রতিনিধি::ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নানা প্রলোভনে চার গ্রামের প্রায় ৮শ’ মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইডি নাম্বার নিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে টেলিটক মোবাইল সিম উত্তোলন করে একটি প্রতারক চত্রু। এ ঘটনায় প্রতারক চত্রেুর সদস্য পুখুরিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান সুরুজের ছেলে রাজিব মিয়া (২২) কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা ।

ঘটনাটি ঘটে উজেলার যশরা ও সালটিয়া ইউনিয়নের আঠারদানা, গন্ডগ্রাম, ভারইল, পুখুরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে গন্ড গ্রামের এহিয়া গফরগাঁও থানায় একটি সাধারন ডাইরি করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭/৮ দিন যাবত উপজেলার সরকারী অনুদানের কথা বলে পুখুরিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে সাব্বির ও আব্দুর রহমান সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজিব গন্ডগ্রাম, ভারইল, পুখুরিয়া পশ্চিম পাড়া ও আঠারোদানা গ্রামের মানুষদের ঘর র্নিমান, গ্রাছের চারা ও পাকা টয়লেট র্নিমানসহ নানা পলোভন দেখিয়ে ৪ গ্রামের ৮শত মানুষের ফিঙ্গার প্রিণ্ট(আঙ্গুলের ছাপ) ও ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর নিয়ে নেয়। চার গ্রামের প্রায় ৮শ’ নারী পুরুষ সরল মনে তাদের কথা বিশ্বাস করে ফিঙ্গার প্রিণ্ট (আঙ্গুলের ছাপ) ও ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দিয়ে দেন। এর পর থেকে গ্রামবাসীর মোবাইল নম্বরে টেলিটক ও বাংলালিংক সিম উত্তোলনের মেসেজ আসতে থাকে। পরে গ্রামবাসী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রতারণা করে তাদের আঙ্গুলের ছাপ ও ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর নেওয়া হয়েছে।

যশরা ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল বলেন, একটি প্রতারক চক্র গ্রামবাসীকে নানা প্রলোভনের মাধ্যমে তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইডি নম্বর নিয়ে প্রতারনা করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে গ্রাম বাসীর সহায়তায় রাজিব নামে প্রতারক চত্রেুর এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আহাদ খান বলেন, জড়িতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।