নিজস্ব প্রতিবেদক : অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতার বর্ষসেরা পুরস্কার পেয়েছেন “দৈনিক আমাদের কন্ঠ” পত্রিকার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের প্রধান সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক।
“দৈনিক আমাদের কন্ঠ” ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের প্রধান সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক বিগত দুই বছরে কক্সবাজারের মাদক সম্রাটদের তালিকা প্রকাশ,ময়মনসিংহের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ মাফিয়া ডনদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ স্বাস্থ্যখাতের একাদিক মাফিয়া ডনদের হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য উদ্ঘাটন। এছাড়া ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কান্ড,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২২ কোটি টাকা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শত কোটি টাকা অনিয়মের খবর প্রকাশ,টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপের কুকর্ম ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ ও মাউশিতে ১৩৫ জন কর্মচারীদের মধ্যে ৪৩ জন কোটিপতি,সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতি-অনিয়ম,হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের ১৪ কোটি টাকা হরিলুট এমন আলোচিত বহু সংবাদ প্রকাশ করে প্রশংসায় ভাসছেন খায়রুল আলম রফিক। এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর রাঘব বোয়ালরা দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের মামলায় কারাগারে গেছেন অনেকেই। দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বহু রাঘববোয়াল।
এমন একাধিক বিশেষ রিপোর্টের পরিপেক্ষিতে ও সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতে তাহাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০২০-২২ সেশনে বর্ষসেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে দৈনিক আমাদের কন্ঠের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের প্রধান সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক-কে পুরস্কার ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন আমাদের কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক জনাব মিয়াজী সেলিম আহমেদ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আমাদের কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক জনাব মিয়াজী সেলিম আহমেদ বলেন,সাহিত্য না জানলে ভালো লেখা যায় না। লেখায় মাধুর্য বাড়াতে সাংবাদিকদের সমস্ত বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
এসময় তিনি আরোও বলেন,সাংবাদিকতা মহান পেশা। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা যা লিখবে জাতি সেটাই জানবে। সাংবাদিকদের কাজ সত্য তুলে ধরা। কারও ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সাংবাদিকতা নয়। আশা করি সাংবাদিকরা সত্যকে তুলে ধরবে। সাংবাদিকরা হলো জাতির আয়না। সাংবাদিকদের লেখার মধ্যে দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। কারণ একটি সংবাদ প্রকাশের পর তা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ থাকে না সে বিষয়ে সকল সাংবাদিককে খেয়াল রাখতে হবে ।