অশ্লীল ইতিহাসে ভরপুর হোলী উৎসব কোন মুসলমান পালন করতে পারেনা

আজ/কাল হিন্দুদের হোলী উৎসব। অনেক নামধারী মুসলমান এই দিনে রং মাখামাখি করে। অথচ হোলী উৎসবটির ইতিহাস জানা থাকলে কোন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিই এ নোংরা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে না।

মূলত হোলী উৎসবের সূচনা হয়, ” ব্রক্ষ্মার আদেশে প্রথমবারের মতো কৃষ্ণর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলো রাধা। সারারাত কামসূত্রের চৌষট্টি কলা প্রয়োগ করল কৃষ্ণ। আবেগাপ্লুত অবস্থায় কৃষ্ণর দাঁত ও নখের আঁচড়ে এবং শ্রী রাধার কুমারিত্ব খণ্ডনে রাধা এমন লালে লাল হল যে, সকালে লজ্জায় আর বাইরে বেরোতে পারছিল না। সমস্যার সমাধানকল্পে কৃষ্ণ তার অনুসারীদের রঙ দিয়ে খেলার নির্দেশ দিল। সবাই যখন রঙে রঞ্জিত তখনই রাধা রক্তাক্ত কাপড় নিয়ে বাইরে বের হয়ে এল এবং বাড়ি ফিরল।” (রাধা কৃষ্ণ লীলা সম্পর্কে ব্রক্ষ্ম বৈবর্ত পুরানে বর্নিত আছে)এই হলো হোলির ইতিহাস।


এমন নোংরা কর্মের স্মৃতিবাহী একটি বিধর্মী উৎসবে কোন মুসলিম তো দূরে থাক, কোন ভদ্রলোক যেতে পারে না।
হোলী উৎসব এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব। যাতে অংশ গ্রহণ মানেই হল হিন্দুদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় উৎসবকে নিজের উৎসব হিসেবে গ্রহণ করা। যা কিছুতেই বৈধ হতে পারে না।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}

আজ হোলী পালনকারী মুসলিম ভাই বোনেরা উক্ত হাদিস অনুসারে মুসলমান থাকবে কি?

#সংগৃহীত