ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক: করোনা মহামারিতে স্তব্দ সারা বিশ্ব। কিছুতেই কমছেনা এর সংক্রামন নারী পুরুষের পাশা পাশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে বৃদ্ধসহ অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও ছিল । ভ্যাকসিন নেওয়া থেকে বিরত ছিল বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। কারণ ভয় ছিল ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসি অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে সংশয়ের প্রেক্ষিতে এই পরামর্শ দিলো সিডিসি। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এখবর জানিয়েছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সিডিসির পরিচালক রচেল ওয়ালেন্সি করোনাভাইরাস নিয়ে ব্রিফিংয়ের সময় জানান, ভ্যাকসিন সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমে দেখা গেছে ৩৫ হাজারের বেশি নারীদের তৃতীয় ট্রিমেস্টারে বা তাদের সন্তানের জন্য সুরক্ষা জটিলতা দেখা যায়নি।অন্তঃসত্ত্বা নারীরা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অন্যান্যদের মতো একই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা প্রায় চার হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীর বিস্তারিত তথ্য পেয়েছি। এছাড়া ৮ শতাধিক নারীর তথ্য পেয়েছি যারা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাদের তৃতীয় ট্রিমেস্টার বা সন্তানের জন্য কোনও সুরক্ষা জটিলতা তৈরি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি এটি একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনার জন্য উৎসাহিত করছি আমি। তার ও সন্তানের জন্য সবচেয়ে ভালো কী হবে তা নিয়ে প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা দাতার সঙ্গেও আলোচনা করতে পারেন।ভ্যাকসিন প্রাথমিক পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সম্ভাব্য জটিলতা নিয়ে খুব তথ্য ছিল। ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের গোষ্ঠী সতর্কতা অবলম্বনসহ সাংঘর্ষিক পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কেবল ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
ওয়াশিংটন পোস্ট খবরে জানিয়েছে, সিডিসি এর আগে বলেছিল অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। দ্য আমেরিকান কলেজ অব ওবস্টেট্রিসিয়ান ও গাইনোকলজিস্টস জানায়, ভ্যাকসিন নেওয়া থেকে অন্তঃসত্ত্বা বিরত রাখা উচিত নয়। কিন্তু তারা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখে।