স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকার রাজৈ ইউনিয়নের ভন্ড কবিরাজ সবুজ মিয়া। দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটতো পাইলাব গ্রামে তার বাড়িতে। দীর্ঘ দিন মানুষকে ধোকা দিয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে তার সহযোগী একটি চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে!
একজন কাঠুরে সবুজ কিভাবে কি পেয়ে সকল রোগের ঔষুধ তার ঝাড় ফু’তে ভালো হয়! হাজারো মানুষকে বোকা বানিয়ে সে প্রতারনা করে আসছে, তার কাছে রোগের চিকিৎসা নিলে কোন টাকা পয়সা লাগে না সত্য কিন্তু পানি আর তৈলের বোতল ঠিকই সাথে নিয়ে লাইন ধরে বসে থাকতে হয়! প্রশ্ন হাজার হাজার মানুষের যে তৈলও পানির বোতল গুলো কিন্তু প্রায় সবাই তার বাড়ির আশপাশে গড়ে উঠা দোকান থেকে কিনতেন!
তাহলে প্রতিদিন যদি ২০ হাজার লোক আসে তাহলে চিন্তাকরুন ৪০ হাজার পানিও তেলের বোতল বিক্রি হলে সেখান থেকে ২টাকাও সে নেয় তবে দৈনিক ৮০ হাজার টাকা পকেটে উঠতো।
তাহলে ভালুকার রাজৈ পাইলাব গ্রামে কয়েক বছর তার বাড়িতে চলত ভূয়া চিকিৎসা। ভাবুন কত কোটি টা সে হাতিয়েছে? এসব কিছু প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর বিরুদ্ধীতার মুখে পড়ে! শেষ পর্যন্ত ভন্ড বাবা সবুজ স্থানীয় সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহমেদ কে তার চিকিৎসা যাতে বন্ধ না হয় সাহায্য চান।
কিন্তু কোন ফায়দা হয়নি এমপি সাহেব প্রশাসন কে ব্যবস্থা নিতে বলেন। গত মাসে তার বাড়িতে কবিরাজি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
কিন্তু ভন্ড কবিরাজ সবুজ তার সহযোগী চক্রের সাহায্যে নতুন আস্তানা গড়ে তুলেছে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় তাতে ভন্ড বাবার পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের হাত রয়েছে।
গতকাল ৯ নভেম্বর শনিবার পাকুন্দিয়ায় চরপলাশ মাঠে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তথাকথিত বাবার পানি পড়া নেওয়ার জন্য হাজারো মানুষের ঢল। বোতলের মুখ খোলা রেখে মাইক দিয়ে বাবা ফু দিলেই সকল অসুখ বিসুখের অবসান!
প্রশাসন ও আইন-শৃখলা বাহিনী সুদৃষ্টি কামনা করছি যাতে আর কোন সাধারন মানুষ ভন্ড কবিরাজ সবুজ মিয়ার ধোকায় না পড়ে।