ভালুকার খবর:ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হস্থক্ষেপে ভূমি জালিয়াত চক্রের হাত থেকে কয়েকটি পরিবার ফিরে পেল তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। উপজেলার কাদিগড় গ্রামে একটি ভুমি দালাল চক্র ভূয়া ওয়ারিশান সনদ জমা দিয়ে কৌশলে তাদের অনুকুলে নামজারি করে ব্যাংক ঋণ নেয়ার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি ইউএনও’র নজরে আসলে তিনি নামজারি বাতিল করে আসল মালিকদের খতিয়ানে ওই জমি ফেরত দেন।
ভূক্তভোগী জমি মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাদিগড় গ্রামের জনৈক ভূমি দালাল জাকির হোসেন জুয়েল, হীরা মিয়া ও সাইফুলের নেতৃত্বে একটি জালিয়াত চক্র, আরওআর খতিয়ান (নম্বর-১৩৫) মূলে পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক ওই গ্রামের সমর আলী ও মহর আলী এবং আরওআর খতিয়ান (নম্বর-১৭২ ও ১৭৩) মূলে মৃত আতাউর ও মীর শামছুল হকের নামে ভূয়া ওয়ারিশান সনদ সৃজন করে কৌশলে ৬ একর জমি ২১৬৮ ও ২১৬৯ নন্বর দুটি জমা খারিজ ও নামজারি হাসিল করে ওই জমাখারিজ মূলে ঢাকাস্থ ম্যাক্স নাহার ইন্টারন্যাশনালের মালিক শিল্পপতি মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর নামে ভালুকা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ৬ একর জমি বন্ধকী দলিল করেন, যার নন্বর ৩৮৩০। পরে অগ্রণী ব্যাংক, মতিঝিল শাখায় ওই বন্ধকী জমির কাগজপত্র জমা দিয়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয়ার চেষ্টা করেন।
ম্যাক্স নাহার ইন্টারন্যাশনালের মালিক শিল্পপতি মাহমুদুর রহমান চৌধুরী জানান, জমি কিনে দেয়ার কথা বলে হিরা মিয়া টাকা নিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি জানার পর ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওই বন্ধকী দলিলটি (নম্বর-৪৮৩৮) বাতিল করা হয়েছে।
ভূমি মালিক শমর আলী ও মোতাহার আলীসহ অন্যান্য ভূমি মালিকরা জানান, নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে ভূমি জালিয়াত চক্রের হাত থেকে আমরা জমি ফেরত পেয়েছি। আমরা ওই জালিয়াত চক্রের বিচার দাবি করছি।
ভালুকা সাবরেজিষ্টার মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, কমিশনে দলিলটি করা হয়েছিলো, নামজারি ত্র“টি ধরা পড়ায় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে দলিলটি বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল জানান, ঘটনাটি জানার পর নামজারি বাতিল করে প্রকৃত মালিকদের খতিয়ানে জমি ফেরত দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই জালিয়াতির বিষয়ে দুদককে অবহিত করা হয়েছে।