জাককানইবি প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজের জন্য রাখা ৫০০কেজি রড ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, পহেলা এপ্রিল রাত সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে রড ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ।
মেসার্স রাকা এন্টার প্রাইজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দশ তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হল দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণের কাজ করছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাইড ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল মিয়া জানান,“ আমাদের ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ ঢাকায় আছেন। উনাকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ফোন করে বলা হয় যে আমাদের এক টুকরা রড লাগবে।এক টুকরা রডের কথা বলে গতকাল রাত সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে চারুকলা বিভাগের আবির নামে এক শিক্ষার্থীসহ ৮-১০ জন ছাত্র দুইটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে এসে আমার সাইড ম্যানেজার রিপন ও নাইড গার্ড জামালকে আটকে রেখে গুলি করার হুমকি দিয়ে ৫০০ কেজিরও(৫ বান্ডিল২০ মিলি) বেশি রড জোরপূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে যায় । তিনি আরো জানান, ছিনতাইয়ের কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে, তারা আমাদেরকে কোন ধরনের সহযোগীতা না করে বলেন, আপনারা থানায় যান , রড যেহেতেু বাইরে চলে গেছে, ওটা বাইরের ব্যাপার।পুলিশ একবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি বলেও অভিযোগ করেন ।
রড ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাকা এন্টার প্রাইজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, আমার সাইডের কর্মচারী ও লেবারগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।এছাড়াও ছিনতাই হওয়া মালামাল ফেরতের ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড.মো. হুমায়ুন কবীর জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহতি করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব জানান, ছাত্রলীগের কেউ এতে জড়িত নয়। এটা একটা ছাত্রলীগের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্র ।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর জানান, আমি এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব ।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।আমি রেজিস্ট্রারকে বলেছি।তারা বিষয়টি দেখ-ভাল করছে। আর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমার কাছে এটা রহস্যজনক মনে হচ্ছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কামরুল হাসান জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বিষয়টি তদন্ত করছি ।