চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি করার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক ছাত্রলীগের নেতাসহ দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে চবির উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ তাঁর একক ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর।
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন স্নাতকোত্তর শ্রেণির ইশতিয়াক আহমেদ ও ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. নাজমুল। এর মধ্যে ইশতিয়াক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আগের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে আজ সকালে নগরীর বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, একটি চক্র চবির ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির চেষ্টা করছে বলে তাঁরা খবর পান। এর ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে নগরীর অক্সিজেন এলাকা থেকে চবির ছাত্র নাজমুলকে আটক করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াককে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। ডিভাইসগুলো ছিল মাস্টার কার্ডের আদলে।
ওসি জানান, আটক দুজন চবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কিছু পরীক্ষার্থীকে জনপ্রতি তিন লাখ টাকার চুক্তিতে ওই ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
দুই শিক্ষার্থীকে আটকের পর চবির উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কাজ করেন। এখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগই নেই। তারপরও প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ার ডিভাইসসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা দেব।’
চবির প্রক্টর আলী আজগর বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি করার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ তাঁর একক ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত নেন।
গতকাল থেকে চবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৪ হাজার ৩১০ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। ৭৫২ আসনের বিপরীতে প্রতি আসনের জন্য লড়াই করে ১৯ জন করে।