ময়মনসিংহে হত্যার দায়ে নাতির বদলে দাদী গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক::ময়মনসিংহে গরুর ফার্মে ডেকে আনার পর মোঃসেলিম (৪০) নামে একজনকে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে রিয়াদের নাম উঠে এসেছে। অভিযুক্ত রিয়াদ জামালপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী’র ছেলে।ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে। নিহত সেলিম উপজেলার আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।

খবর নিয়ে জানায়, উপজেলার মধ্য আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও জামালপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী’র পুত্র রিয়াদ (১৯) একজন নেশাগ্রস্থ যুবক।অবাধ্য ছেলের থেকে বাবা নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে নিজ বাড়িতে একটি গরুর ফার্ম করে দেন। ফার্মে ৮/৯ টি বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করছিল সে।ফার্মেই তারা নিয়মিত নেশা করতো। প্রতিদিনকার মতো গত শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সেলিমকে রিয়াদের গরুর ফার্মে ডেকে এনে মুখে গামছা দিয়ে রিয়াদের নেতৃত্বে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।পরে সেলিমের চিৎকারে এস আই মোহাম্মদ আলী গুরতর আহত অবস্থায় সেলিমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এরপর সেলিমের অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সকাল ৮টার দিকে সেলিম মৃত্যুবরন হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার মাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদি হয়ে এস.আই পুত্র রিয়াদকে প্রধান আসামি ও আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কাপড় ও রশি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনা তদন্তে হত্যার রহস্য বের করা হবে।  এ ঘটনায় রিয়াদের দাদি ফিরোজা  বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। প্রধান আসামিসহ অন্যরা সবাই পলাতক। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।