ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক::ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ইর্মাজেন্সী মেডিকের অফিসার ডাঃ আরিফুর রহমান ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসে তিনদিনের (নৈমিত্তিক) ছুটি নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। তিনি কোথায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ বলতে পারছে না। তবুও তার সরকারি চাকুরীটি বহাল তবিয়তে আছে। একই দশা এই হাসপতালের সার্জারী বিভাগের। সার্জারী কনসালটেন্ট ডাঃ আফরোজা ইসলাম ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর তিনদিনের ছুটি নিয়ে এর পর থেকে হাসপাতালে আসেননি তিনি। সপ্তাহে দুই/একদিন হাসপাতালে নামমাত্র উপস্থিত হয়ে বেতন ভাতা তুলছেন ১১ জন ডাক্তার। যোগদান করেই বদলী হয়ে যাওয়ায় উপজেলায় ৩৪টি পদের মধ্যে ১৪ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে, ৪জন ডাক্তার প্রেষনে অন্যত্র চাকুরী করেছেন, দুইজন ডাক্তার দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। এভাবেই বছরের পর বছর অনিয়মের পূর্ন হয়ে বর্তমানে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে বেহাল অবস্থা।
জানা গেছে, ইর্মাজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফ্লোরা আফরোজ, ডাঃ তপন কুমার দাশ, ডাঃ আমেন খাতুন মিতা, ডাঃ নুসরাত জাহান, ডাঃ নিয়ামুল হাছান, অর্থোপেডিক্স এর কনসালটেন্ট ডাঃ মিজানুর রহমানসহ ১১ জন ডাক্তারই কর্মস্তলে অবস্থান না করে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করে ট্রেনে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন। হাসপাতাল সংশিষ্ট লোকজন জানায়, রজধানী ঢাকায় অবস্থানকারী ডাক্তার সপ্তাহে ছয়দিনের পরিবর্তে দুইদিন হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন। অনেকের বিরুদ্ধে সপ্তাহে ১ দিন কর্মস্থলে আসারও অভিযোগ রয়েছে। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ডাঃ তপন কুমার দাম জানায় তিনি শনিবারে আসবেন। অর্থোপেডিক্স এর কনসালটেন্ট ডাঃ মিজানুর রহমান সপ্তাহে দুইদিন রবিবার ও বুধবার এই হাসপাতালে রোগী দেখে থাকেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিদিন অসংখ্য রোগীর ভিড় থাকলেও ডাক্তারদের দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারনে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এ বাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলম আরা বেগম বলেন, অনুপস্থিতির কারনে এই হাসপাতালের বেশ কয়েকজন ডাক্তারকে শো-কজ করা হয়েছে। তাদের বিরুরদ্ধ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।