ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায় আরো ৩৩ জন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর। এসব পরিবার উন্মুখ হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন নিজেদের ঘরে ওঠার জন্য। ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে এক ধরণের উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে।
আগামী ২২ মার্চ সকাল ১০টায় সারাদেশে এক যুগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবেন এসব ঘর। সারাদেশের মতো ত্রিশাল উপজেলায়ও এই পর্যায়ে ৩৩ টি ঘর উপকার ভোগীদের মাঝে হস্তান্তরিত হবে।
সরকারের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নে ৪টি, বালিপাড়া ইউনিয়নে ৬টি, ধানীখলা ইউনিয়নে ১০টি এবং মঠবাড়ী ইউনিয়নে নির্মিত ১৩ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই গুলো হস্তান্তর করার পর বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালেও ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির গৃহ নির্মাণের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে জেলার ১২ ইউনিয়নে ৩৩টি গৃহের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক খাস জমি দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতে টিনের চাল, দেয়াল ও মেঝে পাকা বাড়িগুলো সরকার নির্ধারিত একই ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়িতে থাকছে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট ও ইউলিটি স্পেসসহ অন্যান্য সুবিধা।
গৃহহীন পরিবারগুলো নতুন ঘরে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই সাথে তাদের মধ্যে এক ধরণের উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তারুজ্জামানের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ঘরগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শতভাগ ডিজাইন, স্পেসিফিকেশন ফলো করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই গৃহগুলো হস্তান্তরের মধ্যে দিয়ে ত্রিশাল উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে। নির্মিত ঘরগুলোর মান নিয়ে সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।