ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহে বৈঠককালে জামাতে ইসলামীর ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ । শনিবার জেলা জামাতের সেক্রেটারী মোঃ মোজাম্মেল হক আকন্দের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ নগরীতে গোপন বৈঠককালে ১৯ জামাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, ময়মনসিংহে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের থেকে অনেক ভাল। মানুষ নিরাপদে চলাচল ও বসবাস করছে। এই পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহকে উত্তপ্ত করে তুলতে এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে জামাত ইসলামি বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা কল্পে শনিবার জেলা জামাতের সেক্রেটারী মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ময়মনসিংহে চরপাড়া এলাকায় বৈঠক করে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে কোতোয়ালী পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৯ জামাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:
জেলা জামাতের সেক্রেটারী মাওলানা মোজাম্মেল হক, ওসমান গনি, আজিজুর রহমান, ফেরদৌস আলম, মোঃ আল আমিন, দেলোয়ার হোসেন কুদ্দুস, মোঃ তাজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ শাহিন খান, মাহমুদুল হাসান শাহিন, মাহাবুবুল হাকিম, মোঃ মেহেদী হাসান, সারোয়ার হোসেন, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ নাফিজ, মোঃ আবু হানিফ, ফজলুল করিম ফারুকী, শেখ আহমেদ আফিফা ও মোঃ নুরুল হক। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা ৮১, তাং ২৩/১০/২০২২, ধারা বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ তৎসহ ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/ ৩৫৩ প্যানাল কোড দায়ের হয়েছে। রবিবার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরো বলেন, নাশকতাকারী যে দলের কিংবা যত ক্ষমতাধর হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
নগরবাসির মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত নজরদারির ফলে দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ নিরাপদে চলাচল, ব্যবসা বানিজ্য, নিত্যদিনের কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এ অবস্থায় ঘাপটি মেরে থাকা জামাতে ইসলামী প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ময়মনসিংহকে অশান্ত করে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠে। চক্রটি জিমিয়ে পড়া জামাত নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে তাদেরকে যুদ্ধের মত রনকৌশলে প্রশিক্ষিত করতে নগরীর আনাচে কানাচে এবং পাড়া মহল্লায় বৈঠক শুরু করে। এ সকল বৈঠক থেকে সরকার ও প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতে প্রয়োজনে লাশ ফেলে দেয়ার মত জঙ্গি মনোভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলেও খবর রয়েছে। নগরবাসির অনেকেই দাবি করেন, জামাত ইসলামী ময়মনসিংহে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনায় এই গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। আইন শৃংখলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় রক্তাক্ত পরিস্থিতির মত জঘণ্য ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।