নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে , কয়দিন পরেই একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগন নির্বাচন করবে তাদের পছন্দের দল কে, এদিকে মনোনয়ন ফরম কেনা ও বেক্তিগত প্রচার নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে প্রার্থীরা, দেশের সব অঞ্চলের মত ময়মনসিংহেও বইছে নির্বাচনি হাওয়া। সেই হাওয়ায় পাল তুলেছে ময়মনসিংহ – ৭ (ত্রিশাল) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। এখন পর্যন্ত ত্রিশালে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪১ জন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। আওয়ামীলীগ-১৭, বিএনপি-৬, জাপা-১৭ ও ইসলামী আন্দোলন- ১ জন।
এবারের জাতীয় নির্বাচনটা সকল দিক থেকেই বিগত জাতীয় নির্বাচন গুলি থেকে ভিন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন বিএনপি ও আওয়ামীলীগ দুই দলের জন্যই বাঁচা মরার লড়াই হয়ে দাড়িয়েছে। তাই দুই দলই চাইবে প্রতিটা আসনে এমন কাউকে মনোনয়ন দিতে যে কিনা শত প্রতিকূলতার মাঝেও আসন ছিনিয়ে আনতে পারবে।
আজ আমি আমাদের নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ – ৭ (ত্রিশাল) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েকজনকে নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই। আমার কথা গুলি পড়ে প্রায় সকল পক্ষের মাঝে ভালো এবং মন্দ দুই অনুভূতি তৈরি হবে। আমি কারও পক্ষ বা বিপক্ষে কথা গুলি বলবোনা। ত্রিশালে যা বর্তমান সেটাই আমার ও সাধারণের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ত্রিশাল কোন ব্যাক্তি বা দলের নয়। ত্রিশাল সকল ত্রিশালবাসীর। আমি ত্রিশালের পক্ষেই কথা বলার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
ত্রিশাল থেকে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন কেনার হিড়িক দেখে যে কথাটা আমার মনে উদয় হয়েছে সেটা হলো, তারা ভাবছে বা চাইছে এবারের নির্বাচনটাও হয়তো ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের মতো হবে। তাই মনোনয়ন পেলাম মানে এমপি হয়ে গেলাম। বাস্তব কিন্তু সেটা না। এবারের নির্বাচনে দুই দলকেই বেশ কঠিন পরিক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল আসন হতে এবার বিএনপির হয়ে মনোনয়ন কিনেছে – ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটন,বর্তমান সভাপতি, ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি। বর্তমান ত্রিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, শহিদুল আমিন খসরু, হাফেজ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম,ছাত্রদল নেতা শাহ মুহাম্মদ শাহাবুল আলম,যুবদল নেতা আমিন সরকার।
সবাইকে নিয়ে লিখা সম্ভব নয়, তাই শীর্ষ দুইজন প্রার্থীকে নিয়েই আলোচনা করবো।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ত্রিশাল:
ডা: মাহবুবুর রহমান লিটন: তিনি সাবেক ছাত্রনেতা এবং বর্তমান সভাপতি, ত্রিশাল উপজেলা বিএনপি। সহ সভাপতি, ময়মনসিংহ দঃ জেলা বিএনপি। সদস্য, বিএনপি জাতীয় কমিটির সদস্য। বিগত ১০ বছরে উনাকে মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক কাজে তেমন ততপর হতে দেখা যায়নি। ‘লিটন সাহেব’ নামক একটা ব্রেন্ড তৈরি করতে পারলেও তৃণমূলে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারেননি। পদ ও পদবীর আশায় কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মীর বেষ্টনির মধ্যে উনি আটকা পড়ে আছেন। গত ১০ বছরে সাংগঠনিক কাজে মাঠ পর্যায়ে উনার উপস্থিতি ছিলো হতাশা জনক। যার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও উনার মাঝের ব্যাবধানটার আয়তন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বিগত উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে উনার বিতর্কিত ভূমিকা ছিলো বলে মনে করেন ত্রিশালের রাজনীতি সচেতন নেতা কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভালো জানাশোনা ও শক্ত লবিংয়ের জোরে এখনও ত্রিশাল ও ময়মনসিংহের পদগুলি ধরে রেখেছে বলে মনে করছেন ত্রিশালের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। জাতীয় সংসদে স্মার্ট ভাবে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন ব্যাক্তির মধ্যে যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, শিক্ষা, বাচন ভঙ্গি) তার প্রায় সবগুলিই উনার মধ্যে বিদ্যমান আছে। তবে কোন ভাবে যদি উনি ত্রিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন তবে মন্ত্রী না হোক একটা প্রতিমন্ত্রী পেয়ে যাবে ত্রিশালবাসী। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন: জয়নাল আবেদীন সাহেব বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। বিগত ১০ বছর যাবত বিএনপি সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। সারাদেশে বিএনপির ২৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছে। এরকম বৈরী পরিবেশে শত প্রতিকূলতার মাঝেও জয়নাল আবেদীন সাহেব উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছেন। এর পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে উনার তৃণমূলে সম্পৃক্ততা। যেভাবেই হোক উনি তৃণমূলে উনার গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত ৪ বছর বিএনপির সিনিয়র কোন নেতা মাঠে কাজ করতে না পারলেও জয়নাল আবেদীন সাহেব উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রটোকলকে কাজে লাগিয়ে মাঠে প্রান্তরে চষে বেড়িয়েছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে সাক্ষাত করা সহ তৃণমূলে দলকে চাঙ্গা রাখার ব্যাপারে উনার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে লোকাল ভোটের পাল্লাটা লিটন সাহেবের চেয়ে উনারটাই ভারি হবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
জাতীয় সংসদে স্মার্ট ভাবে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন ব্যাক্তির মধ্যে যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন সেদিক থেকে জয়নাল আবেদীন সাহেবের মধ্যে যথেষ্ট ঘাটতি আছে বলে মনে করেন অনেকেই। তবে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই আসন থেকে যদি জয়নাল আবেদীন সাহেবকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে এই আসন পুনরুদ্ধারের আশা দেখতেই পারে ত্রিশাল বিএনপির নেতা-কর্মী ও ভোটারেরা। যদি বিজয়ী হতে নাও পারেন তবে আওয়ামীলীগ থেকে যে বিজয়ী হবেন তাকে কঠিন পরীক্ষা দিয়েই বিজয়ী হতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ত্রিশাল:
ভারতের দিল্লি, মুম্বাই চন্ডিগড় সহ বিভিন্ন অঞ্চলে অন্যের জন্য সন্তান গর্ভে ধারণ করার জন্য গর্ভ ভাড়া দেয়া হয়। যারা অন্যের সন্তানের জন্য নিজেদের গর্ভ ভাড়া দেয় তাদেরকে সারোগেসি মা বলা হয়। যাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা থাকেনা তারাই অন্যের গর্ভ ভাড়া করে নিজের সন্তানের জন্ম দেয়ায়।
আশ্চর্য হলেও সত্য! ত্রিশালের আওয়ামীলীগের রাজনীতীতে এমন সারোগসি মায়ের আবির্ভাব ঘটেছে ১০ বছর আগে। ত্রিশালে যোগ্য মায়ের (প্রার্থির) অভাবে ১০ বছর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল থেকে নৌকার আসন জন্ম দেয়ার জন্য ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলা থেকে সারোগসি মা ভাড়া করা হয়। মজার ব্যাপার হলো সারোগসি মা ভাড়া করার জন্য টাকা দিতে হলেও ত্রিশালে ছিলো উল্টো। সারোগসি মা নিজেই কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন যেন তার গর্ভ ভাড়া নেয়া হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে ১৭ জন মনোনয়ন পত্র নিলেও সেখানে হেভিওয়েট প্রার্থী আছে মোটে দুইটা। এই দুজন দুটা গ্রুপে বিভক্ত। একজন একক ভাবে আর অন্যজন জোটবদ্ধ ভাবে ভাড়া করা সারোগসি মা।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে ত্রিশাল আসন থেকে হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে একক ভাবে মনোনয়ন নেয়া বর্তমান পৌর মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ অন্য সবার থেকে এগিয়ে আছেন বলে মনে করছেন ত্রিশালের সচেতন ভোটার সমাজ। মেয়র আনিছ পর পর দুইবার ত্রিশাল পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথমবার বিজয়ী হওয়ার পিছনে আওয়ামী সরকারের প্রভাব কাজ করলেও ২য় বার তিনি সম্পূর্ণ নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা ও কাজ দিয়ে ভোটারের মন জয় করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন বলে মনে করে সচেতন পৌরবাসী। ত্রিশাল পৌরসভা গঠন হওয়ার পর অন্যসব মেয়রেরা যা করতে পারেনি তা এক টার্মেই করে দেখিয়েছেন মেয়র আনিছ। ২য় বার নির্বাচিত হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কাজ করেছে ত্রিশাল পৌর এলাকার উন্নয়ন। গত পাঁচ বছরে পৌর এলাকায় যে পরিমান রাস্তা ঘাট, ড্রেন, কালভার্ট ও শহর এলাকার উন্নয়ন করেছেন সেটাই উনার ভোটের পাল্লা ভারি করার ব্যাপারে সাহায্য করেছেন।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পৌরবাসির সাথে সাথে ত্রিশাল উপজেলা বাসির মনেও একটা কথা জন্ম দিয়েছে, আর সেটা হলো: মেয়র আনিছকে পৌরসভার দায়ীত্ব দেয়ার পর পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবারের সংসদ নির্বাচনে যদি তাকে ত্রিশালের এমপি নির্বাচিত করা যায় তাহলে এই উন্নয়নের জোয়ারটা পৌর এলাকা ছাড়িয়ে সমগ্র উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে ত্রিশালের সুবিধাবঞ্চিত এলাকা গুলিতেও লাগবে উন্নয়নের ছোঁয়া। তাই ত্রিশালের সচেতন ভোটাররা আশা করছে তৃণমূলের জনপ্রীয়তা যদি যাচাই করে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছকে ত্রিশাল থেকে মনোনয়ন প্রদান করবেন।
আওয়ামীলীগের ২য় প্রার্থীর জোটে বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। ত্রিশাল আওয়ামীলীগের এক সিনিয়র নেতার সাথে কথা হলো কয়েকদিন আগে। উনার ভাষ্য অনুযায়ী এই জোটটা তৈরি হয়েছে মেয়র আনিছকে ঠেকাতে। তারা জেদের ভাত কুত্তা দিয়ে খাওয়ানোর জন্য আবারও ‘সারোগসি মা’ ভাড়া করেছেন। ত্রিশাল আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মীরা মনে করছেন যারা এই জোট তৈরি করেছেন তারা ইতিমধ্যে রাজনীতির মাঠ থেকে ছিটকে পড়েছেন। আর তাই মেয়র আনিছকে ঠেকাতে তারা এক জোট হয়েছেন।
বেশ কয়েক বছর যাবত ত্রিশালে শুরু হয়েছে বহিরাগত খেদাও আন্দোলন। সেটা হোক আওয়ামীলীগ আর হোক বিএনপি। ত্রিশালের মানুষ চায় এমন একজনকে তাদের এমপি বানাতে যে কিনা খাঁটি ত্রিশাইল্লা। যার কাছে যেতে উকিল মোক্তার ধরতে হয়না। যার কাছে খুব সহজেই গিয়ে নিজের সুবিধা-অসুবিধার কথা মন খুলে বলা যায়।
ত্রিশালে মেয়র আনিছ ছাড়াও যোগ্যদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন মাদানী ও আব্দুল মতিন সরকার। যদিও গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে দলীয় হাই কমান্ডের বিরাগভাজন হয়েছেন। অন্য দিকে সাবেক এমপি হয়ে উপজেলা নির্বাচনে হেরে গিয়ে আব্দুল মতিন সরকার সাহেবের ব্যাক্তি ইমেজেও বড় ধরনের ক্ষত তৈরি হয়েছে। তবুও ত্রিশালের আপামর জন সাধারণের একটাই চাওয়া আর তা হলো আওয়ামীলীগ ও বিএনপি থেকে যাকেই দেয়া হোকনা কেন তিনি যেন স্থানীয় কেউ হয়।
সারা দেশের সামগ্রীক পরিস্থিতি ও ত্রিশালের বর্তমান ভোটের বাজার হিসেবে বিএনপি থেকে যদি ডা: মাহবুবুর রহমান লিটনকে দেয়া হয় তাহলে উনার বিপরিতে আওয়ামীলীগ থেকে যাকেই দেয়া হোকনা কেন ডা: লিটন সাহেবের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তবে বিএনপি থেকে যদি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী জয়নাল আবেদীনকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে উনার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে লড়াই করার জন্য একজনই আছেন, আর উনি হলেন বর্তমান মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ।
আওয়ামীলীগ থেকে বর্তমান মেয়র এবং বিএনপি থেকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানকে যদি মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে এই নির্বাচনটা হবে ত্রিশালের ইতিহাসের অন্যতম ও উপভোগ্য নির্বাচন। দুজনের মাঝেই হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ৯০ এর নির্বাচনের মতো জয়ের ব্যাবধানটা হয়তো হাজারের ঘরের মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকবে।
শেষ কথা: দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক দলের সিদ্ধান্তের প্রতি ত্রিশাল বিএনপি ও আওয়ামীলীগের সকলের আস্থা রাখা উচিৎ বলে মনে করছি। আপনার পছন্দের প্রার্থী নমিনেশন নাও পেতে পারে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটা কথা বলেছিলেন , “ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ”। এই কথাটা দুই দলেরই মাথায় রেখে দল যাকেই নমিনেশন দিবে সে আপনার অপছন্দের হলেও ধানেরশীষ অথবা নৌকা প্রতিকের পক্ষে কাজ করুন। দলীয় সকল কোন্দল মিটিয়ে ফেলতে হাইকমান্ড বা জেলার লিডার যারা আছেন আপনারা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুন। যারা ছিন্নমূল নেতা আছেন ছোট খাটো বা বড় কোন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকার কারনে অভিমান করে দলের কার্যক্রম থেকে দুরে সরে আছেন তাদের ডাকুন একসাথে বসুন দেখুন তারা কি চায়, তাদের সাথে যদি অন্যায় কিছু করা হয়ে থাকে তাদের কে আশ্বস্ত করুন, সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে শিখুন এক সাথে কাজ করুন দলের জন্য। তাহলেই শত প্রতিকূলতা সত্যেও তারাই বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবে যাদের ঐক্যটা হবে সবচেয়ে মজবুত।
জাকারীয়া খালিদ
প্রবাসী ব্যাবসায়ী ও সাংবাদিক।
jakariakhalidbd@gmail.com
প্রবাসী ব্যাবসায়ী ও সাংবাদিক।
jakariakhalidbd@gmail.com