আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ:উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেছেন- ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তারাও এ সমাজের মানুষ। প্রতিবন্ধীদের কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। একজন স্বাভাবিক শিশুকে যে ভাবে আদর যত্ন দিয়ে বড় করা হয় ঠিক একজন প্রতিবন্ধী শিশুকে আরো বেশী আদর যত্ন দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিবন্ধীরাও বড় হয়ে মানব সম্পদ হয়ে দেশের সেবায় এগিয়ে আসবে। তবে তাদের সে ভাবে গড়ে তুলতে হবে। অপরদিকে সমাজে যারা ভিক্ষা করেন তাদের সহযোগীতায় সরাকারের পাশাপাশি সবাই এগিয়ে এসে ভিক্ষুক মুক্ত সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত করতে সকলকে আহবান জানিয়েছেন ইউএনও মিজাবে রহমত।
বৃহস্পতিবার (৯জুন) সকালে মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী জনাব শরীফ আহমেদ এমপি মহোদয়ের পরামর্শে এবং জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ এনামুল হকের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মিজাবে রহমত এর উদ্যোগে উপজেলার ৫ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও, একই দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ৮ জন ভিক্ষুকের পুনর্বাসনের জন্য ছাগল,অটো ভ্যানসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদী বিতরণ করা হয়। উপকরণ বিতরণকালে উপস্থিত লোকজনের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন ইউএনও মিজাবে রহমত।
উক্ত হুইল চেয়ার বিতরণ ও উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. ফজলুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাত শহীদ পিংকী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তারাকান্দা শাখার সভাপতি বাবু প্রদীপ চক্রবর্তী রনু ঠাকুর ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বাবুল মিয়া সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন ও সালমা আক্তার কাকন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে তারাকান্দা উপজেলার বিসকা, রামপুর, কাকনীসহ বিভিন্ন এলাকার ০৫ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার তুলে দেন ইউএনও মিজাবে রহমত। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত আরো বলেন, প্রতিবন্ধীরা মা বাবা ও সমাজের বোঝা নয়। সঠিক পরিচর্যায় তারা দেশের সম্পদ হয়ে উঠবে। তবে তাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার পাশাপাশি তিনি প্রতিবন্ধীদের কোন ভাবেই অবহেলা না করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
ভিক্ষুক পুনর্বাসনের ব্যাপারে ইউএনও বলেন-দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং ভিক্ষাবৃত্তির মতো অসাধু পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমান সরকার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ১ জন ভিক্ষুককে ভ্যান গাড়ি, ২ জন ভিক্ষুককে চায়ের দোকান নির্মাণ ও উপকরণ সরবরাহ, ১ জন ভিক্ষুককে মাছ ব্যবসার উপকরণ ও আর্থিক মূলধন সরবরাহ এবং ৪ জন ভিক্ষুককে ছাগল প্রদান করা হয়। উপকরণসমূহ তাদের চাহিদা ও সক্ষমতা অনুযায়ী প্রদান করা হয়েছে মর্মে ইউএনও জানান।
তিনি ভিক্ষুক পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ইউএনও এঁর এমন উদ্যোগ উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।