আরিফ রববানী ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন-দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ পরিবর্তিত নাম ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন অনুযায়ী ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ই মে) বেলা ২টায় সদর উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুম মনিরার নেতৃত্বে ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল ইউএনও শফিকুল ইসলাম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তাদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুম মনিরাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
তিনি বলেন-পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সুবিধাবঞ্চিত পল্লী এলাকার দরিদ্র মানুষদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে, তাদের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি, নারীদের আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিত করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে, সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সহায়তার মাধ্যমে গ্রামের প্রতিটি বাড়িকে আয়বর্ধক উৎপাদনশীল খামারে রূপান্তরে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা দিয়ে প্রতিটি বাড়িকে উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে, কৃষি সেক্টরে প্রান্তিক পর্যায়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে, প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মেলবন্ধনে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করাসহ পল্লীর দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর মাইক্রোসেভিংস মডেল বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে প্রতিটি বাড়ি খামারে রূপান্তর করাসহ সর্বোপরি নিজের ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ব্যাংকের পুঁজি সহায়তায় নানামুখী উৎপাদনশীল কার্যক্রম গ্রহণ, বিপণন ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে স্বচ্ছ ও দুর্ণীতি মুক্ত পরিবেশে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকের প্রতি আহবান।এসময় ব্যাংকে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।