নিজস্ব প্রতিবেদক : ত্রিশালে রাজনৈতিক মাঠে আ.লীগের নেতৃত্বে যার অবদান সকলেই স্বীকার করেন তিনি পৌরসভার তিনবারের মেয়র আলহাজ্ব আনিছুজ্জামান আনিছ । আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব সুদৃঢ় করা, নেতা- কর্মীদের আস্থার প্রতিক হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাল হয়ে দাড়িয়েছেন এই মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ।ত্রিশালের রাজনৈতিক জীবনে এমন জনপ্রিয়তার নজির নেই অন্য কারো।তার এই জনপ্রিয়তা জনগণের কাছে অমূল্য হলেও কিছু রাজনীতিবিদের কাছে কাল হয়ে দাড়িয়েছে। মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছকে ঘায়েল করতে দুই মামুনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেও কোন ভাল ফল তারা পাচ্ছে না। অপকৌশলের দুই হাতিয়ার হলো পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ মামুন এবং হত্যার শিকার মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টারের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন । নিহত মুক্তিযোদ্ধা পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন গোপনে অর্থাৎ নেপথ্যে থেকে চালাচ্ছেন নানান অপকর্ম । এ দুজন মামুনের কর্মকান্ডে নিরীহ জনসাধারণ ভোগান্তি আর হয়রানির শিকার হচ্ছে ।
খুন , সামাজিক কোন্দল, মিথ্যা ঘটনায় সাজানো মামলা ও মিথ্যা অভিযোগে জিডি শিকার, জমি বেদখল,মাদক ব্যবসাসহ আরো অনেক অপকর্মই করছে এই চক্রটি । নেপথ্যের কারিগর অনেক উপরের হওয়ায় ধরাছোয়ার বাইরে থেকে ব্যবহার করছে, সাবেক কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ মামুন ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাষ্টারের পুত্র মামুনকে ।
স্থানীয়রা বলছেন, ত্রিশাল আওয়ামীলীগে যোগ্য নেতা মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ । তিনি যেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘায়েলের শিকার না হন সেদিকে সচেতন ও প্রতিবাদী থাকা উচিত ।আওয়ামীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনীতি যেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অস্ত্র না হয়। রাজনীতি মানে নিজেকে উৎসর্গ করা। যা মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ অনুকরনীয় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত ।
ডিজিটাল ত্রিশাল বিনির্মাণ ছাত্রলীগ , যুবলীগ আমল থেকেই করে আসছেন । মেয়র আনিছের প্রতিপক্ষ যারা তাদের অভ্যন্তরে কোনো গণতন্ত্র নেই ক্ষমতার মোহে তারা অন্ধ । তাদের কারণেই বিভক্তি । তারা, অবৈধ আয়, লুটপাট ও ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ফায়দা হাসিলের ধান্দাবাজিতে থাকেন। অভিযোগ, মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছকে টার্গেট করে মিথ্যা অভিযোগে অপপ্রচার ও একটি মিডিয়া ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে । নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাষ্টার ভাল মানুষ ছিলেন । ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন । সেই সুবাদে নিহতের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সহমর্মীতা আর সহানুভূতি দেখান স্থানীয়রা । মামুন এটিকে পূঁজি করে উল্টো সাধারণ মানুষকেই হয়রানি করে যাচ্ছে। তার অপপরিকল্পনা প্রকাশ্যে থেকে বাস্তবায়ন করছে মামুনুর রশিদ মামুন । অদৃশ্য মামুন ৩৩টি জিডি ও ১২ টি মামলা করিয়েছে নিরীহ একে অপরকে দিয়ে । এতে মঠবাড়িসহ ত্রিশালে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে । ইতিমধ্যে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নৈশ প্রহরি ও আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি খুনের শিকার হন যা এই চক্রের ষড়যন্ত্রের অংশ আলোচনা হচ্ছে সকল জায়গায় । আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিজ এলাকায় সামাজিক দ্বন্দ সংঘাত, অভ্যন্তরীণ কোন্দল , অপরাধমূলক কাজ বাড়ছে । রাজনৈতিক কোন্দল হচ্ছে ।
মামুন বলে বেড়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সুসম্পর্কের কথা । এতে আইন শৃংখলা প্রয়োগকারী সংস্থাও বিব্রত । আব্দুল্লাহ আল মামুন বলে বেড়ান সরকার দলীয় বড় নেতা, আইনশৃংখলা বাহিনীর অনেককে বিভ্রান্ত করে থানাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফোন করান । এসব নিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেন থানা কার্যালয় ও আশেপাশে এলাকায় । ইতিমধ্যে ৩৩টি জিডি ১২ টি মামলা হয়েছে যা তিনিই ড্রিল করেন গোপনে।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য মামুনুর রশিদ মামুন ও গোপনে আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তাদের সাথে সম্পৃক্ত গডফাদার ও সহযোগীদের উপর নজরদাড়ি হচ্ছে । তারা গোয়েন্দা নজরদাড়িতে রয়েছে বলে জানাগেছে । আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। আমি এসকল ঘটনার সাথে জড়িত না। মেয়র সাহেবকে নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করেনি,তিনি আমার এলাকার কোন ঘটনার সাথে জড়িত না। তিনি আরও বলেন, একটি মিডিয়ার লোক মেয়রকে নিয়ে অপপ্রচার করছে এ ঘটনার আমি নিন্দা জানিয়েছি।
তথ্যসূত্র ঃ আমাদের কন্ঠ