ময়মনসিংহে সকালে খুন-রাতে আসামী গ্রেফতার

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের সদরে পুত্রবধূর সঙ্গে ঝগড়ার সময় ছেলের কিলঘুষিতে হাফিজা খাতুন (৭০) নামক বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনার সাথে জড়িত নিহত বৃদ্ধার ঘাতক ছেলে আব্দুল মান্নান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়নের কোকিল গ্রামের পালপাড়া এলাকার এ ঘটনাটি ময়মনসিংহ জুড়ে বেশ সলোচনার স্থান দখল করলেও সোমবার রাত ১২টার মাঝে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে কৌশলী অভিযান চালিয়ে মায়ের খুনী ছেলে মান্নানকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসায় দায়িত্ব পালনে ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের কোকিল গ্রামের পাল পাড়া এলাকার মৃত জবান আলীর আলীর স্ত্রী হাফিজা খাতুনের সঙ্গে তার পুত্রবধূ হাজেরা খাতুনের (৪০) ঝগড়া হয়। বিষয়টি ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫) জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে কিলঘুষি মারেন। এতে বৃদ্ধা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমকে) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান- পারিবারিক কলহের জের ধরেই মাকে ধাক্কা দিয়ে রেল লাইনের পাতের উপর ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ভিকটিম মা আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়লে অংশ পাশের লোকজন হসপিটালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করে।

এই ঘটনায় ভিকটিমের অপর ছেলে আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে মোঃ আব্দুল মান্নান (৫৫) ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৪০) কে আসামী করে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন যার মামলা নং ৮২ তারিখ ২২/০৩/২০২২ ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করে।

ঘটনার পর থেকে নিহতের ছেলে আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে মূল আসামি আব্দুল মান্নান কে গ্রেফতার করা হয়েছে।তিনি জানান- মান্নানের সাথে ভাইদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিলো। তার মা ভাইদের পক্ষ নেওয়ায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় অপর আসামি মান্নানের স্ত্রী হাজেরাকেও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।।

এদিকে সকালে খুন আর রাতে আসামী গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাদী পক্ষ ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।