আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ:: ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে ন্যায় নিষ্ঠা ও সাহসীকতার সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সফলতার সাথে ইউনিয়ন পরিচালনা করে আসছেন ইউনিয়নের মেধাবী রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল । তার উন্নয়নের কথা রুপ কথার গল্পকে ও হার মানায়। জাতির জনকের আদর্শ কে বুকে ধারন করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে ইউনিয়ন বাসীদেরকে তার দক্ষতার মাধুর্যতা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যান হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করছেন মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকুয়া ইউনিয়নে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে দারিদ্রতা নির্মূল, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, সকল স্তরে শিক্ষার মানবৃদ্ধি ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ইত্যাদি নীতি গ্রহণ করেছেন।
তিনি অসহায় ও সেবাগ্রহণ-কারীদের কষ্ট লাগবের কথা ভেবে জনগণের সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে কাজ করেছেন। তিনি দিন রাত অসহায় মানুষের কষ্টের কথা শুনে তা সমাধান করেন এবং ছুটে যান অসহায় মানুষের পাশে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন কর্মী হিসাবে কাজ করছেন।
সরজমিনে নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন মন্ডলের অধীনে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়। তিনি নির্বাচিত হয়ার পর, এখন পর্যন্ত এলাকায় বড় কোনো ধরনের জটিলতা দেখা যায়নি। আর এ সফল মানুষকেই আবারোও চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান স্থানীয় লোকজন। তিনি এলাকায় মাদক নির্মূলসহ অনেকগুলো রাস্তা,ব্রীজ,কালভাট উন্নয়নের কাজ করেছেন। তিনি যুব সমাজকে নিয়ে নতুন কিছু করার চিন্তা ভাবনা করছেন।
স্থানীয় গণ্যমান্যরা বলেন, উন্নয়নের রুপকার সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বসিয়ে দিয়েছেন। তার এই উন্নয়নের ছোঁয়া দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ন্যায় তারাকান্দার ঢাকুয়া ইউনিয়নেও বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি মাদক, বাল্যবিয়ে এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তা নির্মুল করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিনি অসহায় মানুষের পাশে থেকে দারিদ্র্যতা দূর করার জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল ঢাকুয়া ইউনিয়নবাসীর একজন বিশ্বস্ত হাতিয়ার, একজন সৎ নির্বিঘ্ন ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন। এছাড়া যিনি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। স্থানীয় রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নসহ বাল্যবিবাহ দূরীকরণ,বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী সহ বিভিন্ন ভাতা প্রদান সহ বিভিন্ন সরকারি অনুদান সুষম বন্টন করেছেন তিনি। এছাড়াও সালিশি মীমাংসায় তিনি কারো পক্ষপাতিত্ব না করে কেউ যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় এ বিষয়ে সবসময় খেয়াল রাখেন। জনগণের খেদমত করার মানসিকতা নিয়ে তিনি সাধারন মানুষের পরামর্শে তিনি চলমান উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিতে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আবারো জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়াও করোনাকালীন মহাদুর্যোগে সরকারী সহায়তার পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নেও দিয়ে গেছেন তিনি নজিরবিহীন সেবা।
এলাকাবাসী বলেন, চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল একজন ব্যক্তি নয় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদের অভিভাবক এবং ঢাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের যে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন তা আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছে মডেল হয়ে থাকবে । বর্তমানে তিনি ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান। আধুনিক মডেল ইউনিয়ন রুপান্তর ও এলাকার মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। আগামীতেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন এমনটা আমরা আশা করি। আগামীর পরিকল্পনা দিয়ে ভরিয়ে দিতে চান গোটা সমাজ ব্যবস্তাকে। তার উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে প্রতিটি ওর্য়াডে। অত্র ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে বিধায় পুনরায় মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল কে আবারও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন মন্ডল বলেন- বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি “প্রতিটি গ্রাম হবে শহর” তা বাস্তবায়নের জন্য জনগনকে পাশে রেখে তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে থেকে নিষ্ঠার সাথে উন্নয়নের কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কতটুকু পেরেছি সেটা এ এলাকার মানুষ ভালো জানে। আমি এবারও চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী। যদি আমি আবারো নির্বাচিত হই, এই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবো।আবারও নির্বাচিত হলে যে সব কাজ অসম্পূর্ণ আছে, তা সম্পন্ন করবো। আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে দ্বারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নির্বিকারকে অনুসরণ করে জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে আমি রাজনীতি করি। আমি চাই আমার এলাকার গরীব দুঃখী অসহায় মেহনতি মানুষের জন্য কিছু করতে। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আসন্ন নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপক উন্নয়নসহ অত্র ইউনিয়নকে পরিপূর্ণ ডিজিটাল আদর্শিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো। বিশেষ করে সমাজের অবক্ষয় রোধে মাদকের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবো। তিনি আশা পোষণ করেন জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাগবে ও ইউনিয়নের চলমান উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিতে জনগণ তাকে অবশ্যই আবারও পুণরায় বিজয়ী করবেন।