স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঠিকাদার হাশেম আলীর দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তার অনুপস্থিতিতে ৩ বছরের সাজা হয় । সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের স্থায়ী জামিন আবেদন বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। ময়মনসিংহের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন তাকে স্থায়ী জামিনের আদেশ দেন।
মামলার বাদী ঠিকাদার হাশেম আলী দাবি করেন , ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং জনরোষ সৃষ্টিকারী ও মানহানিকর । ময়মনসিংহের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করলে আসামি খায়রুল আলম রফিকের অনুপস্থিতিতে ৩ বছরের দন্ড প্রদান করেন।
২০১৮ সালের ২৮ মার্চ ইং তারিখে দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকায় ” ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধু খাদ্যের খাতে দুর্নীতির পরিমাণ কোটি টাকা ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে, ঠিকাদার হাসেম আলী মামলাটি দায়ের করেন।
সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শেখ আবু সাদাত মোহাম্মদ খায়ের।
আজ ময়মনসিংহ বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো: হেলাল উদ্দিনের আদালতে দীর্ঘ সময় শুনানি হলে বিজ্ঞ আদালত ২ সিনিয়র আইনজীবীর সন্তুষ্টজনক বক্তব্য শুনে খায়রুল আলম রফিকের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন শুনানি করেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ আল বাকী ও ময়মনসিংহ জজকোর্টের আইনজীবী শেখ আবু সাদাত মোহাম্মদ খায়ের।
খায়রুল আলম রফিকের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, সৃজত ও উদ্দেশ্যমূলক। সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক জানান , আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিচালক (তদন্ত) নুর খান জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিককে শায়েস্তা করার এক বড় হাতিয়ার দুর্নীতিবাজদের। ঠিকাদার হাশেম আলীর দায়েরকৃত মিথ্যা মামালার শিকার হয়ে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক আর্থিক ও মানসিকভাবে যে ক্ষতির শিকার হয়েছেন এর দায় কে নেবে ?
প্রসঙ্গত, ঠিকাদার হাশেম আলীর দায়ের করা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, সৃজত ও উদ্দেশ্যমূলক মামলায় সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক কারাভোগকালে তার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে প্রতিবাদ ও আন্দোলন হয় । প্রতিবাদ হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ।