কাকন রাজঃঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে আকিজ সিরামিক্সে বহু মানুষের কর্মসংস্থান করে দেয়া এবং আওয়ামীলীগে জনপ্রিয়তা শীর্ষে থাকায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্রের যোগসাজশে পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা করা হয়েছে । ত্রিশালে অসংখ্য প্রতারণার সাথে জড়িত জনৈক মাহাবুল বাদী হয়ে এ মামলা করেন । মামলায় মেয়রকে প্রধান আসামি করে আরো ১২ জনের নামে এ মামলা করা হয় । আকিজ সিরামিক্স কর্তৃপক্ষ তাদের জমিতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদকালে গত ৩ অক্টোবর মাহাবুল ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে । রাতে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায় ।
জানা যায়, ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নে আকিজ সিরামিক্স কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের নিকট থেকে জমি ক্রয় করে প্রতিষ্ঠান চালু কারার মাধ্যমে সেখানকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। তন্মধ্যে স্থানীয় মাহাবুব এর নিকট থেকে ন্যায্যমূল্যে জমি ক্রয় করে । বিক্রি করা জমিতে কোম্পানী সহানুভূতির দৃষ্টিতে শর্ত সাপেক্ষে অস্থায়ীভাবে মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে একটি ঘর ও চা দোকান করে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়া হয় মাহবুলকে । সম্প্রতি কোম্পানীর এজমির প্রয়োজন দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ মাহাবুলকে স্থান ত্যাগ অর্থাৎ চলে যাওয়ার জন্য মৌখিক ও লিখিতভাবে নির্দেশ প্রদান করে । ঐনির্দেশ উপেক্ষা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় মাহাবুল । উপরন্তু বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে টাকা দাবি করে । অপরদিকে মাহাবুলের পিতা চান মিয়া নামের এক ব্যক্তির নিকট জমি বিক্রি করে । তৎপরবর্তীতে চান মিয়া আকিজ সিরামিক্স কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয় । পিতা- পুত্রের জমি বিক্রির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । আকিজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে উচ্ছেদ করে দেয় । কয়েক মাসে মাহাবুল তাদের ঘরের আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম এবং মূল্যবান জিনিষপত্র সরিয়ে নেয় । আকিজ সিরামিক্স কর্তৃপক্ষ জমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় । গত ২ অক্টোবর মাহাবুল ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে । রাতে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায় । গভীর রাতে একটি চক্রের ইন্দনে মাহবুল বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় পৌর মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলা করে । মামলা করার পর মাহাবুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় । এই মামলায় মেয়রকে আসামি করায় গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বলে করছেন এলাকাবাসী । তারা বলছেন, মেয়রের জনপ্রিয়তা ও আওয়ামীলীগে শক্তিশালি অবস্থান দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার চকান্তের অংশ এই মামলা ।
আওয়ামীলীগের কর্মী আসাদ জানান, আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন পৌর মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ। তিনি যেন সভাপতি হতে না পারেন এজন্য একটি চক্রের যোগসাজশে এই মামলা করা হয়েছে তার বিরদ্ধে । তার মত একই মন্তব্য উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের । তারা জানান, মেয়র আনিছ এই কোম্পানীতে স্থানীয় অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি অর্থাৎ চাকুরির ব্যবস্থা করেছেন । সেখানে এই চক্রান্ত করে কি বুজাতে চান মাহবুল ? মাহবুলের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতারণার অভিযোগ আছে বলে তারা জানান ।