নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভালুকা ভূমি অফিসের এখন সব চেয়ে বড় আতংকের নাম খাবিরুল ইসলাম এমনটাই অভিযোগ জনসাধারণের । অনলাইনে সেবা পেতে সাধারণ মানুষগুলো তার কাছে যখন যায়, তখনি ভূমি সেবার নামে সরলতার সুযোগ নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার নামে।
সাধারণ মানুষ গুলো তাদের সমস্যা সমাধানে খারিজ সহ বিভিন্ন কাজ মঞ্জুরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় তার সাথে। কাজ ও মৌজা অনুপাতে ৫.০০০/- থেকে শুরু করে ২,০০০,০০⁄- লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে এ সমস্যা গুলো সমাধান করে থাকে বলে জানা যায় । এর মধ্যে হবিরবাড়ী, উথুরা, মল্লিকবাড়ী ও ভরাডোবা মৌজা উল্লেখযোগ্য। ভিন্ন কাজ ও মৌজা হিসাবে টাকা বা প্যাকেজ পরিবর্তন হয় বলে বলেন ভুক্তভোগিরা।
গোপন সূত্রে জানা যায়,খাবিরুল একাজে একা নয় সাথে রয়েছে সাহায্যকারী। তারা আবার এক একজন আলাদা কাজে সহায়তা করে। যেমন খাবিরুলের রুমে আনাচে কানাচে অনেক নথী বিদ্ধ্যমান, সে বাহিরে সারাদিন ঘুরে নথী সংগ্রহ করে। মদদদাতা মতিউর রহমান (সার্ভেয়ার)। খাবিরুল নথী ডিল করে আনে আর মতিউর স্কেচম্যাপ করে মঞ্জুর করে থাকে।
ভরাডোবা মৌজার এক গরীব রিক্সাওয়ালার কাছ থেকে সে ৫,০০০/- (পাচঁ হাজার) টাকা নিয়ার অভিযোগ সহ আরো অনেক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ভালুকাবাসীর প্রত্যাশা বর্তমান এসিল্যান্ড মোঃ মাইনউদ্দিন খুবই সৎ এবং ধার্মিক তিনি যেন এই অভিযোগের প্রতি বিশেষ নজর দেন । এবং সত্যতা পেলে যেন সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করবেন বলে ভালুকা বাসিদের প্রত্যাশা। অন্যথায় এই সুযোগে ভূমি অফিসের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট সহ সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি বিরুপ মনভাব সৃষ্টি হবে। এসিল্যান্ড মহোদয়ের কাছে ভালুকা বাসীর অনুরোধ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে ভালুকাবাসীকে উদ্ধার করবেন বলে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস।