নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শহিদুল আমিন খসরু নিজ উপজেলা ময়মনসিহের ত্রিশালে (ময়মনসিংহ জেলা দঃবিএনপি আহবায়ক) ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটনের নিজ বাসভবনে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ত্রিশাল উপজেলা স্বেছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্ববায়ক রাজুরুল ওয়াহাব রাজু জানান, ৭ ফেব্রুয়ারী বিকেলে গোপনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটি করা নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা খেয়ে পকেট কমিটি করার জন্য বর্তমান নেতাদের না জানিয়ে গোপনে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। বর্তমান নেতারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সভাপতি ও জেলার সভাপতি শহিদুল আমিন খসরু তাদের উল্টাপাল্টা কথা বলতে শুরু করে এবং খারাপ আচরন করে। খসরুর এমন আচরনে নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বের হয়ে চলে আসতে চাইলে ডাঃ লিটনের অনুসারি শাহাবুলের কর্মীদের সাথে হাতাহাতি শুরু হয় ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহ মোহাম্মদ শাহাবুল আলম ত্রিশাল প্রতিদিনকে জানান, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী ত্রিশাল পৌরসভার নির্বাচন থাকায় স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী সম্মেলনটা সিমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়। আয়োজনের আগেই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্ববায়ক কমিটির সকল সদস্যকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়ে থাকলেও সম্মেলন শুরু হয়ে গেলেও অনেকেই অনুপুস্থিত ছিলেন। সম্মেলন শুরুর অনেক পরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্ববায়ক রাজুরুল ওয়াহাব রাজু সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন আমাকে এই সম্মেলনের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। আমাকে ছাড়াই কেন গোপনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হলো বলে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এই সময় আমরা উনাকে শান্ত করতে গেলে উনার সাথে আসা নেতাকর্মীদের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
এসময় অবস্থা খারাপ বুঝে কেন্দ্রীয়ও জেলার নেতারা দু’তলায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে বিশেষ সূত্র জানিয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।