ফকরুদ্দীন আহমেদঃঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয় করলেন, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র ও আগামী পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ।
২৫ শে ডিসেম্বর পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করে সন্ধ্যায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার জাহান জুয়েলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ফকরুদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেয়র আনিছ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আরিফ রাব্বানী, সহ-সভাপতি খম শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সমাপাদক একে এম আছাদুজ্জামান পাইলট, অর্থ সম্পাদক, তারেক হাসান বাবু সরকার, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, ক্রীড়া সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ধর্ম সম্পাদক ফজলুর রহীম সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, মোমিন তালুকদার, তথ্য সম্পাদক আনিছুর রহমানবিপ্লব, সম্মানিত সদস্য প্রকৌশলী লূৎফর রহমান, ও আউলাদুল ফরহাদ প্রমুখ। এই মতবিনিময় সভায় মেয়র আনিছ বলেন, আমি ছাত্রলীগ করেছি, যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব থাকাবস্থায় ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র হয়েছি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার দায়িত্ব পালন করে তৃতীয় শ্রেণীর এক পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে জেলার শ্রেষ্ঠ পৌরসভা হিসেবে উপহার দিতে পেরেছি। এই উন্নয়ন জনগনের জন্য উপকার হয়েছে জনজীবন উন্নত হয়েছে তাই দলমত নির্বিশেষ জনগন আমাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চেয়ে রাস্তায় নেমেছে। তাদের ভালোবাসায় আবারো মেয়র প্রার্থী হয়েছি। আজকে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমার একটি কথা এই সহজ সরল ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের মূল্যবান ভোট দিতে পারে এবং কোন ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা না হয়। যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি তবে জীবনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে যাবো। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর যখন আমাকে ভালবেসে সেবা নিতে চায়, তাদের সেবা দিতে আবারো মেয়র প্রার্থী হয়েছি।
আর এই জনসেবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি অংশ। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ত্রিশাল পৌরসভায় প্রায় ৮০ % কাজের উন্নয়ন করতে পেরেছি আবার যদি মেয়র হতে পারি তাহলে সারা বাংলাদেশের মাঝে ত্রিশাল পৌরসভা কে শ্রেষ্ঠ পৌরসভার হিসেবে উপহার দিতে পারবো।