খায়রুল আলম রফিক:: বহুল প্রত্যাশিত ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের সরকারি ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি উঠেছে ত্রিশালে ।
ইতিহাস ঐতিহ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-অর্থনীতি, কৃষিসহ সব দিক থেকে এগিয়ে ত্রিশাল। ফোরলেন মহাসড়ক হওয়ার পর নতুন শিল্পোদ্যোক্তারাও এখানে শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসছেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলও হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা আরও বাড়ছে। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাণিজ্যিক বিমানসেবা চালু করতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা জরুরি বলে মনে করছেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বিদেশি ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও রপ্তানিকারকেরাও ত্রিশাল হয়ে অষ্টম বিভাগ ময়মনসিংহে আসতে চান । বিদেশি ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা এলে ত্রিশাল আরো অর্থনৈতিক অঞ্চলে রুপান্তরিত হবে ।
ময়মনসিংহে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষানগরী হিসাবে খ্যাত ময়মনসিংহে হাজার হাজার বিদেশি ও পর্যটক ত্রিশাল হয়ে ময়মনসিংহ আসেন। জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালে কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দর্শনীয় ও ধর্মীয় একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। ছোট-বড় অনেক শিল্প-কারখানা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুর মতো সব ধরনের অনুকূল পরিবেশ ত্রিশালে বিদ্যমান।
ত্রিশালের উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের হাব হিসেবে গড়ে তোলাসহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকার আশপাশে সর্বাধুনিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের সরকারের। ত্রিশালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনে ত্রিশালবাসী ঐক্যবন্ধ আছেন ।
ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান বলেন, ত্রিশালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ হলে এই এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে। এছাড়া সারাদেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন সরকার বলেন, ময়মনসিংহের প্রাণকেন্দ্র ত্রিশাল । এখানে বিদেশি পর্যটকেরা আসতে চান। বিমান সেবা চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে। তখন মানুষ সহজে ত্রিশাল তথা ময়মনসিংহ আসতে পারবে। তাছাড়া ত্রিশালের সীমান্ত এলাকা ময়মনসিংহ ।
ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের এমপি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী বলেন, ত্রিশালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন করা হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্ভাবনার দুয়ার আরও বিস্তৃত হবে। খুলে যাবে। এখানে যোগাযোগ, পরিবেশ, পাইপলাইনে গ্যাসসহ নানা কারণে শিল্পের অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান আছে। শুধু বিমানযোগাযোগ সুবিধা না থাকায় বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবিসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষও ত্রিশালে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। জনগণকে আরও সম্পৃক্ত করে জোরালোভাবে একত্রিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি, যতদ্রুত সম্ভব ত্রিশালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন করা হোক । ত্রিশালে বিমানবন্দর স্থাপন হলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থাও বাড়বে অনেক।