ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: ময়মনসিংহের অভিযানে দীর্ঘ পৌনে দুই বছর পর অপহৃত শিশু হৃদয় (১১) উদ্ধার হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে তারাকান্দার পশ্চিম তালদিঘী গ্রামের আনারুলের বাড়ি থেকে হৃদয়কে উদ্ধার করে পুলিশ। পিবিআই জামালপুরের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার ও পিবিআই ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত বিশেষ পুলিশ সুপার সীমা রাণী সরকারের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক আবুল কাশেম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযানে চালিয়ে অপহৃত এই শিশুকে উদ্ধার করে। অপহৃত হৃদয়ের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের শুকনিকুড়ি গ্রামে। সে ঐ গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।
পিবিআই সুত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের শুকনিকুড়ি গ্রামের শিশু হৃদয় মিয়া গত ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ নিখোজ হয়। অবুঝ শিশু ছেলে নিখোজের ঘটনায় তার পিতা শহিদ মিয়া ঐ বছরের ১৫ মে আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে দূর্গাপুর থানা পুলিশকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে দূর্গাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৩০ ধারা মামলা নং-১৩, তাং-১৮/০৬/১৮ রুজু করে পুলিশ।
পিবিআই আরো জানায়, দুর্গাপুর থানা পুলিশ দীর্ঘ ১ বছর ৩ মাস মামলাটি তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট নং-৩১, তাং-০৫/০৯/১৯ দাখিল করে। থানা পুলিশ অপহৃত শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণচক্রের সাথে আউকে গ্রেফতার না করে তথ্যগত ভুল রয়েছে এমন উল্লেখ করে ঐ চুড়ান্ত রিপোর্ট দেন। ঐ রিপোর্টের প্রতি আস্থা রাখতে না পেরে অপহৃতের পিতা বাদী মোঃ শহিদ মিয়া আদালতে নারাজি দাখিল করেন। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি আবারও অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই ময়মনসিংহকে নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই ময়মনসিংহ গত এক নভেম্বর মামলাটি প্রাপ্ত হয়ে চৌকস পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবুল কাশেমকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন।
তদন্তের এক পর্যায়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবুল কাশেম শিশু হৃদয় অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহ পোষন করে ময়মনসিংহের তারাকান্দার পশ্চিম তালদিঘী গ্রামের হাফেজ উদ্দিনের ছেলে আনারুলকে গ্রেফতার করে। আনারুলকে গ্রেফতারের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই গত ২৫ ডিসেম্বর তার বাড়ি থেকে প্রায় পৌনে দুই বছর পর অপহৃত শিশু হৃদয় মিয়াকে উদ্ধার করে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।