ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক::শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশএবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় শেরে বাংলার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দুঃখজনক হলেও সত্য আজ সেই মহান নেতা অবহেলিত। তার মাজারে থাকে না বিদু্যত থাকে, যা সরকারের যথাযথ কতৃপক্ষের ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছুই নয়। আজ বড় জানতে ইচ্ছে করে বাঙালি জাতির অহংকার শেরে বাংলা অবহেলিত কেন ?
তিনি বলেন, এদেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকতাবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনদিনই বিস্মৃত হবে না।
শুক্রবার মাজার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ কর্তৃক শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ১৪৫তম জন্মজয়ন্তিতে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাংলার ধূলো-মাটি ছিল যার গৌরব, বাংলার মানুষের জন্যে অসীম ভালবাসা ছিল যাঁর প্রাণের সৌরভ, বাংলার মানুষের সেবার জন্যে আজীবন সংগ্রাম ছিল যাঁর জীবনের লক্ষ্য, নীতির প্রশ্নে যিনি ছিলেন আপোষহীন, তিনি হচ্ছেন আমাদের শের-এ-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। বাঙালি জাতির গর্বের উৎস এবং কেন্দ্র আমাদের শের-এ-বাংলা।
তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে ত্যাগ তিতিক্ষার দ্বারা বাঙালিদের জীবনেরসর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে জ্ঞান ও কর্ম সাধনার যে আদর্শ তিনি স্থাপন করেগেছেন, তা চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।
গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার বাঘ ছিলেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষেরআর্থ সামাজিক উন্নয়নে এ কে ফজলুল হকের অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তার আদর্শ যদি আমরা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে পারতাম তাহলে জাতি হিসেবে আজ অনেক দূর এগুতে পারতাম।
সভাপতির বক্তব্যে মো. শহীদুননবী ডাবলু বলেন, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফজলুল হক এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ঋণসালিশী বোর্ড গঠনের মাধ্যমে এদেশের কৃষককুলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকেউদ্ধার করতে সামর্থ্য হয়েছিলেন। প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি ভূমির ওপর এদেশের কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন।
ন্যাপ নগর সভাপতি মো. শহিদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মুছা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জাতীয় ছাত্রকেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।