ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া সীমান্ত স্থলবন্দর দিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে ভারতী থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সহ ভারতীয় কয়লার দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ০৭ জানুয়ারি স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, গত বছর এপ্রিলে ভারত থেকে মাত্র ৯৬৪ টন কয়লা আমদানির পর আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ০৪ ডিসেম্বর দুই স্থলবন্দর দিয়ে ০৮ টি ট্রাকে ৯৬ টন কয়লা বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আবারও কার্যক্রম শুরু হয়। এবং ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ ট্রাক কয়লা বাংলাদেশে আসে। এসব ট্রাকে এক হাজার ৮০ টন কয়লা ছিল। এরপর বড়দিন ও নতুন বছরে কয়েক দিন ছুটির কথা বলে রফতানি বন্ধ রাখে ভারত থেকে।
কড়ইতলী-গোবরাকুড়া আমদানি-রফতানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার অপু বলেন, আমরা ৫০০ টাকা লাভ করে ক্রেতাদের কাছে কয়লা বিক্রি করে দিচ্ছি। ত্রেতা ধরে রাখাসহ বন্দর দু’টির কার্যক্রম সচল রাখতে আমরা লাভ কম করছি। তবুও ২২ ডিসেম্বরের পর থেকে বড়দিন ও নতুন বছর শুরু হওয়ায় কয়েক দিন রফতানি বন্ধ রাখার কথা বলে এখন পর্যন্ত রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারতীয়রা।
ভারতীয় কয়লার দাম কমানো দরকার উল্লেখ করে আমদানি-রফতানি গ্রুপের এই নেতা বলেন, দাম কিছুটা কমালে সারা বছর ব্যবসা চাঙ্গা থাকবে। প্রচুর কয়লা আমদানি করা যাবে। এতে ক্রেতারা কম দামে কিনতে পারবে। ফলে শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে হবে না।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কড়ইতলী-গোবরাকুড়া বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বলেন, ইন্দোনেশিয়ার কয়লা জাহাজে করে বাংলাদেশে আসে। এগুলোর গুণগত মান ভারতীয় কয়লার চেয়ে কিছুটা কম। এজন্য কয়েক হাজার টাকা কম দামে বিক্রি করা হয়। কিন্তু ভারতীয়রা দাম কমাতে নারাজ। ফলে তাদের কয়লা আমদানি কম হচ্ছে। ভারতীয়রা ইচ্ছা করলেই সহনীয় দামে কয়লা বিক্রি করতে পারে।
ত্রি/প্রতিদিন ডেস্ক