আরিফ রববানী ময়মনসিংহ: ময়মনিসংহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা সদস্য পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন তরুণ নারী নেত্রী, সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য আরজুনা কবির। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেও যুক্ত থেকে দীর্ঘ দিন সর্বস্তরের জনগণের পাশে থেকে সেবায় নিয়োজিত থেকেছেন তিনি। সততা, মেধা, দলের জন্যে সার্বক্ষণিক পরিশ্রম ও সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার সক্রিয়তাই তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী, মেধাবী ও উদীয়মান নেত্রী হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
ময়মনসিংহের সাবেক বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক জনবান্ধব ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কাদির (কাদু) সাহেবের পুত্রবধু আরজুনা কবির। তার স্বামী হুমায়ুন কবির ভূট্রো বয়ড়া ও দিগারকান্দা এলাকার একজন জনবান্ধব রাজনিতিবিধ। তার পিতা আশরাফ আলী প্রধান ছিলেন একজন শিক্ষক। স্কুল জীবন থেকেই আওয়ামী ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত হয়ে পরেন আরজুনা কবির। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তরুণ নারী নেত্রী আরজুনা কবির তার নেতৃত্বে জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে তরুণ নেতৃত্বের ঘাটি তৈরি করেছেন। তরুণ ও মেধাবীদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হিসাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কে এগিয়ে নিচ্ছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কে অব্যাহত রাখতে আবারও তিনি জেলা পরিষদ সদস্য পদে প্রার্থী হিসাবে তার নির্বাচনী এলাকায় দিনরাত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে প্রতিটি দুর্যোগ আর যে কোন বিপদে মানুষের পাশে থাকায় আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী এলাকার গৌরীপুর ও তারাকান্দা উপজেলার কয়েকজন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বলেন, যে কোন শ্রেণি পেশার মানুষ খুব সহজেই আরজুনা কবির এর সঙ্গে সুখ দুঃখ ভাগাভাগিসহ মনের ব্যাথা বেদনার কথা বলতে পারেন। অসাধারণ কর্মদক্ষতা তাকে তৃনমুলের ভোটারদের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় করে তুলেছেন। তাকে আবারও জেলা পরিষদ সদস্য পদে আশা করছে মানুষ।
আরজুনা কবির এ প্রতিবেদককে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আদর্শ রেখে গেছেন সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন শহর কেন্দ্রীক নয়, একেবারে তৃণমূল থেকেই উন্নয়ন করে আসছেন তিনি। দেশের মানুষের যে অবস্থা তা একযুগ আগেও এমন ছিলনা, এটা হলো বাস্তবতা। কিন্তু সে পরিবর্তন আনতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের চাকা সচল রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কে এগিয়ে নিতে আবারও সুযোগ চাই। আশা করছি ভোটারদের সমর্থন আমাকে আবারও সদস্য পদে বিজয়ী করে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে। যদি
দায়িত্ব ভার পাই তাহলে বঙ্গবন্ধু আদর্শের পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।