মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- জারী কারক কাজী আজিজজুল হক, স্টেনোগ্রফার জাহিদুল ইসলাম, কর্মচারী আলগীর শাহাদত, সাইফুল ইসলাম এবং আইনজীবীদের মধ্যে খসরু, আ: মোতালেব, সোহাগ ও শাওন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির আ: হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জজ আদালতের সামনে পরিবেশ সুন্দর করার জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতি জেলা জজের মৌখিক অনুমতি নিয়ে পাঁচটি অস্থায়ী স্থাপনা হিসেবে পাকা শেড দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
কিন্তু আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা নির্মাণাধীন দোকানঘরগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। পরে তারা জজ আদালতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এসে প্রথম যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের বিচারকের এজলাস, নেজারত শাখাসহ বেশ কয়েকটি এজলাসের দরজায় লাথি মেরে কর্মচারীদের মারধর করেন। এ সময় আইনজীবীদের হামলায় কমপক্ষে আট জন কর্মচারী আহত হন।
বিচার বিভাগীয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আইনজীবীরা যা করেছে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এর মধ্য দিয়ে তারা বিচার অঙ্গনকে কলুষিত করেছেন। মূলত তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন।’
এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্যানেলে নির্বাচিত আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বদর উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘জজ আদালতের আঙ্গিনায় কর্মচারীরা অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে সমিতির পক্ষ থেকে জেলা জজকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কিন্তু রাতের আঁধারে কর্মচারীরা দোকানঘর নির্মাণ করায় ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা নির্মানাধীন দোকানগুলো ভেঙে দিয়েছেন।’
আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. জালাল উদ্দিন খান বলেন, ‘আইনজীবী কর্মচারীদের ওপর হামলা করেনি। বরং কর্মচারীরা আইনজীবীদের ওপর হামলা করে চার জনকে আহত করেছেন।’
তবে এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দুর্জয় বাংলা