আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২ (সদর-তারাকান্দা-গৌরীপুর) এলাকার সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুনা কবির। তিনি টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩১ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাজমুন নাহার মুক্তা ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২৮ ভোট।
সোমবার (১৭অক্টোবর) ভোট গ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এনামুল হক।
দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে আরজুনা কবির বলেন, তাঁর স্বামী হুমায়ুন কবির ভুট্টো একজন আওয়ামী লীগ নেতা,শশুর মরহুম আব্দুল কাদির কাদু সদর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। ময়মনসিংহবাসীর উন্নয়ন ও কল্যাণে শশুর কাদু চেয়ারম্যান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ জন্য তিনি ময়মনসিংহবাসীর সহায়তা কামনা করেন।প্রতিটি উপজেলাকে মডেল হিসাবে উপহার দিতে রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ নানা উন্নয়নের কথা বলেন তিনি।
আরজুনা কবির বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য,ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গত মেয়াদেও জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা ঘাট এর ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করায় আসন্ন নির্বাচনেও টপ ফেবারিট প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের আলোচনায় ছিলেন। দক্ষ ও মেধাবী নারী নেত্রী আরজুনা কবির ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সাবেক বয়ড়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কাদের কাদু মিয়ার পুত্র হুমায়ুন কবির ভুট্টোর স্ত্রী। বিভিন্ন ইউনিয়নের গণমানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকে তিনি নিজেকে একজন সফল ও মানবিক নেত্রী, জনপ্রতিনিধি হিসাবেও জনবান্ধব গড়ে তুলেন।
জনপ্রিয় নারী নেত্রী আরজুনা কবির এর পূর্বসূরি জনপ্রতিনিধিগণের ব্যাপারে প্রাপ্ত সুত্রে জানা গেছে-*স্বাধীনতা পরবর্তী সাবেক কেওয়াটখালি ইউনিয়ন এর প্রথম ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির (কাদু) এবং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর প্রথমবার নির্বাচিত সাবেক মহিলা চেয়ারম্যান রুখসানা কাদের এর পুত্রবধূ। আরজুনা কবির এর নিজে গত
*২০০৯ সনের ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা সদর এর তৃণমূলে সর্বাধিক ভোটে মনোনয়ন হওয়ার পর ও আওয়ামী লীগ এর দুই বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সত্ত্বেও বি.এন.পি এর জেলা মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন পারভীনকে প্রায় ৩৭,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এ সর্বাধিক ১,০৩০০০ ভোট পেয়ে প্রথমবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন.*২০১৬ সনের ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও নির্বাচন করে জেলা পরিষদের প্রথম মহিলা সদস্য নির্বাচিত হন।এছাড়াও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের জনপ্রতিনিধিগণের মাঝে ছিলেন- ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ পৌরসভার সাবেক প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদ মার্কেট,মাহবুব ম্যানশন,গোল্ড মার্কেট,হোসেন প্লাজা ও উত্তরা হোটেল এর স্বত্বাধিকারী মরহুম আবুল হোসেন তার চাচা শশুর.*সদর এর বিদ্রোহী মৌজা দেশের সাবেক দ্বিতীয় বৃহত্তম আকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল খালেক সরকার আরজুনা কবির এর ননদ এর শশুর.*সাবেক আকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর দুইবারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ মুসা সরকার আরজুনা কবির এর ননদ এর ভাসুর.*নানা শশুর মরহুম মিয়া চাঁন মাস্টার কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়ন পরিষদ এর বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান.*দেশের প্রথম উপজেলা নির্বাচনে করিমগঞ্জ উপজেলার প্রথম নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান শিহাবউদ্দিন মাস্টার মামা শশুর.*নিকটাত্মীয়দের আরো অনেকেই জনগণের জন্য রাজনীতি করেছেন.জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন এখনো আছেন।