ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আগামী বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় ৫৩৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান সোমবার দুপুরে তার সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১৪টি, মুক্তাগাছা উপজেলায় ১৭৪টি, ত্রিশাল উপজেলায় ৩৩টি, গফরগাঁও উপজেলায় ১০টি, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ৬১টি,গৌরীপুর উপজেলায় ২১টি,তারাকান্দা উপজেলায় ২১ টি, হালুয়াঘাট উপজেলায় ১৮টি, ধোবাউরা উপজেলায় ৮৭টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ময়মনসিংহ জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের কাজ সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। চতুর্থ পর্যায়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।
প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়, ক’শ্রেণির পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার এবং খ শ্রেণির পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে, কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ক’ শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কণ্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারো দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ২শতক জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
আরো জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২;প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা টাঙ্কফোর্স কমিটি ও যৌথ সভার মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৪১৮৯টি পরিবারকে ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।তন্মধ্যে ১ম পর্যায়ে ১৩০৫টি,২য় পর্যায়ে ৬৪৫টি,৩য় পর্যায়ে (১ম ধাপ) ৮৪০ গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২৭৯০ টি ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার কে পুণর্বাসন করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ১৩৩৪ টি গৃহের মধ্যে ৫৩৯ টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৯৫ টি পরিবারকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে।
আগামী ২২শে মার্চ বুধবার সারাদেশের ন্যায় ক’শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ পর্যায়ে প্রথম ধাপে ৫৩৯ টি পরিবারের নিকট গৃহ হস্তান্তর করবেন।একই সাথে উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমির কবুলিয়ত দলিল ও খতিয়ান প্রদান করা হবে। এর আগে ফুলবাড়িয়া,ফুলপুর, ভসলুকা,নান্দাইল এই ৪টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা হয়েছে। এবার ত্রিশাল,গৌরীপুর, তারাকান্দা এই তিনটি উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা হবে বলেও জানান তিনি।
আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ঘরগুলো এখন শুধু হস্তান্তরের অপেক্ষায়। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সব সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান- ঘর গুলো যেন মজবুত এবং টেকসই হয় সেই লক্ষ্যে এবারের ঘর গুলোর ফাটল ঠেকাতে উন্নত মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রতিনিয়তই ঘরগুলো নির্মাণ কাজ তোদের কি করা হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মেহেদী হাসান,সহকারী কমিশনার (এস.এ (রাজস্ব) শাখা দিলরুবা ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।