আরিফ রববানী,ময়মনসিংহঃ প্রেম, সাম্য, মানবতা আর বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম প্রয়াণ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বাংলাদেশ নজরুল সেনা। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতীয় কবিকে স্মরণ করেছেন তার ভক্তরা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নজরুল সেনার উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, কবির জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা, ইসলামী গান (হামদ ও নাত) পরিবেশন, নজরুল সেনা স্কুলের শিক্ষার্থীদের বৃন্দ আবৃত্তি ও নজরুল সেনার সিনিয়র সদস্য নজীব আশরাফ ও মোস্তফা কামালের ইসলামী গান পরিবেশন।
এ উপলক্ষে (২৭শে আগষ্ট)শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় নজরুল সেনার মিলনায়তনে নজরুল সেনার সভাপতি লায়ন মিজানুর রহমান খান লিটনের সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী আমজাদ দোলনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, নজরুল সেনা স্কুলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ, নজরুল সেনা স্কুলের অধ্যক্ষ সানোয়ারা খানম,কেন্দ্রীয় নজরুল সেনার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজীব আশরাফ প্রমুখ।
এসময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান,মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও নজরুল সেনা স্কুলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেছেন-কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অনন্য। বিশ ও ত্রিশের দশকে অবিভক্ত বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি। তিনি আমাদের জাতীয় কবি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যর্থ অনুকরণ ও অনুসরণের কৃত্রিমতা থেকে আধুনিক বাংলা কবিতাকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে সফল। রবীন্দ্র-উত্তর সাহিত্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। নজরুল তার কবিতা, গান ও উপন্যাসে পরাধীন ভারতে, বিশেষ করে অবিভক্ত বাংলায় সাম্প্রদায়িকতা, সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
সবশেষে কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নজরুল সেনার কর্মকর্তা, নজরুল সেনা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অভিভাবক ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুলের আদর্শে গড়া দেশের অন্যতম শিশু-কিশোর কল্যাণ সংগঠন ‘বাংলাদেশ নজরুল সেনা’ ১৯৬৪ সনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ময়মনসিংহ নগরীর শ্যামাচরণ রায় রোডে কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবস্থিত। দেশবরেণ্য শিশু সংগঠক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এড. এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ (সাথী ভাই) বাংলাদেশ নজরুল সেনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বাংলাদেশ নজরুল সেনার অসংখ্য শাখা রয়েছে।