শামিম ইশতিয়াক, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহ শহরে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা, রোদ, ধুলাবালি আর তিব্র গরম উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যাস্ত রয়েছে ক্রেতারা। আর সে জন্য বেড়ে গেছে দোকানীদের দিগুন ব্যস্ততা, যেন দম ফেলানোর সুযোগ হয়ে উঠছেনা, ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে শহর, লোকারণ্য যেনো চারিপাশ, হাটার জায়গাও নেই ফুটপাতে, তাই শহরে অনায়েসে কেনেকাটার জন্য গাঙিনাপাড় ট্রাফিক মোড় হতে স্টেশন মোড় পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ব্যারিকেট, এতে প্রবেশ করতে পারছেনা কোন যানবাহন, এতে সাচ্ছন্দ্য জ্যামের ভয় কে দূর করেই হাটতে পারছেন ক্রেতা সাধারণ।
ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স, সুপার মার্কেট, মিনি মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় সকল প্রকার গার্মেন্টস, শাড়ী বিতান, সু-ষ্টোর, ফ্যাশান’শো, কসমেটিকস, ও জুয়েলারী দোকানগুলো ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশী।
তবে ক্রেতা সাধারণের গন্তব্য যেনো তাদের আয় কিংবা আর্থিক সঙ্গতির উপর নির্ভর করছে, নিম্নআয়ের মানুষ গুলো ছুটছেন শহরের গাঙিনাপাড় ফুটপাতে, আর মধ্যবিত্ত শ্রেণী ছুটছেন শহরের হকার্স মার্কেট, হক মার্কেট, বাসাবাড়ি মার্কেটে, আর আয়ের উপর ভিত্তি করে অন্য শ্রেণী ছুটছেন সূচনা সেন্টার পয়েন্ট, বারি প্লাজা, মফিজ উদ্দিন ইনডেক্স প্লাজা, পালিকা শপিং সেন্টার কিংবা বিভিন্ন অভিজাত শোরুমের দিকে।
ঈদের এখনো প্রায় ৭/৮ দিন বাকি রয়েছে। তাই সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের দোকান গুলিতে চলছে বিকিকিনি। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন ধরণের ক্রেতাদের সমাগম বেড়েই চলেছে। বড় দোকানগুলোতে মধ্যবিত্ত ও অধিক আয়ের লোকদের ভীড়ে মুখরিত মধ্যরাত পর্যন্ত। নিন্ম আয়ের লোকদের আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে নিজেদের পছন্দমত বিভিন্ন ধরণের মালামাল ক্রয় করছেন। পছন্দসই জিনিস কিনতে ক্রেতারা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছুটে বেড়াচ্ছে।
তবে অভিযোগ উঠেছে দাম বেশী হওয়ার ব্যাপারে, ঈদ উপলক্ষে পণ্যের দাম বেশী হওয়ার কথাও বলেছেন অনেক ক্রেতা, উপস্থিত মাহফুজ নামে এক ক্রেতা বলচেন, প্রতিবছরের তূলনামূলক এবারের পোশাক অনেক উন্নত ও ডিজাইনের দিক দিয়ে বিগত বছরের তুলনায় একদম নতুন। তবে বছর পরিক্রমায় এ বছর পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশী। জুবায়ের নামে অন্য এক ক্রেতা বলেন নতুন নতুন কালেকশন পাচ্ছি কিন্তু দামটা বাড়িয়ে বলছে বিক্রেতারা।
দাম বেশী হওয়ার ব্যাপারে বিক্রেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে ফেইস টু গ্যালারি এর প্রোপাইটর জাহাঙ্গীর আলম নিগারে বলেন পোশাক গুলো তারা সরাসরি বিদেশ আমদানি করেন না। ফলে তারা ঢাকা থেকে কিনে এনে বিক্রি করছে। আর পরিবহন খরচ যুক্ত হওয়ার কারনে রাজধানী কিংবা শহর থেকে এখানে দাম একটু বেশী। তবে তারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুশারে পোশাক বিক্রি করে থাকেন।
শহরে বেচেকেনা চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত, ব্যাস্ত থাকবে বিক্রেতা এবং ক্রেতা, এদিকে ছিনতাই, চাদাবাজ মহল হয়ে উঠবে চাঙ্গা তাই শহরে ঈদের কেনাকাটায় কোন আপত্তিকর ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে তাই ময়মনসিংহ সিটি প্রশাসন শহরের সব জায়গায় দিয়েছেন কঠোর নিরাপত্তা, মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনি।