মুক্তাগাছায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী তারেক 

মো:আনিসুর রহমান: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ৫ আসন মুক্তাগাছায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ তারেক। তিনি স্থানীয় সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শামছুল হক এর ছেলে। জন্ম ও বংশগত ভাবেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ তারেক তৎকালীন ১৯৯৪ সালে বিএনপি জামাতের বিভিন্ন মামলায় হয়রানির স্বীকার হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহনে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৯৯৫ সালে উপজেলা শহরের শহীদস্মৃতি সরকারি কলেজে বিএনপি জামাতের হামলার শিকার হয়ে দুই মাস হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হয় তাকে ।

এছাড়াও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী  শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে তৎকালীন সরকারি মদদে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ করায় গণগ্রেফতারের স্বীকার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করা এই আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে  মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, দায়িত্ব পালন করেছেন মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এর, ছাত্রজীবন কেটেছে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে। দুঃসময় ও দুর্দিনে আওয়ামী লীগের পাশে থাকা পরিবারে জন্মগ্রহণ করা মোঃ তারেক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তাগাছার সর্বসাধারণের সমর্থনের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ ৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তৃণমূল পর্যন্ত বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

 জানাগেছে , বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোস্তাকের ডাকে সাড়া না দিয়ে যারা রাস্তায় নেমে আসেন তার মধ্যে মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুল হক ছিলেন অন্যতম। তারই যোগ্য  উত্তরসূরী শাতিল মো: তারেক। তারেক ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন ত্যাগী পরিক্ষিত একজন নেতা। দলের প্রধান জননেত্রী  শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এলাকায় আন্দোলন জোরালো করায় একের পর এক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার। নাম প্রকাশ না করে আ’লীগের একাধিক নেতা কর্মীরা বলেন, জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার নয় আ’লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে আমাদের নিজ দলের লোকেদের প্রতিহিংসার স্বীকার হতে হয়েছে শাতিল মো: তারেককে।

মুক্তাগাছা আসন থেকে প্রথম নির্বাচিত সংসদ এডভোকেট  শামসুল হকের যোগ্য উত্তরসূরি শাতিল মো: তারেককে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করে সুবিধাবাদীরা। কিন্তু যার শরীরে এডভোকেট  শামসুল হকের রক্ত এবং তাকে দমানোর সাধ্য আছে কার? মুক্তাগাছার ইতিহাসে প্রথম সংসদ ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তাগাছা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে একটানা ২৩ বছর মুক্তাগাছা উপজেলা আ’লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এডভোকেট  শামসুল হক। বাবার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের প্রতি আনুগত্য থেকে মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে রাজনীতি শুরু করা তারেককে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে বেগ পেতে হয়নি।

শাতিল মোঃ তারেক তার সততা ও নিষ্ঠা, ন্যায় পরায়ণতায় অল্প দিনেই মুক্তাগাছাবাসীর প্রিয় নেতা হয়ে উঠেন। তারেকের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে নিজ দলের নেতাদের প্রতিহিংসার স্বীকার হতে হয় তাকে। বার বার  রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়। উপজেলা আ’লীগের কমিটি থেকে বাদ পড়লেও জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে মানুষের কল্যাণে এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে কাজ করে আসছেন তিনি। সাধারণ মানুষের চাওয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন শাতিল মোঃ তারেক। সাধারণ মানুষের চাওয়া পূরণ ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি।

আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাতিল মো: তারেক বলেন, সাধারণ মানুষ এবং নেতা কর্মী সমর্থকদের চাওয়ার প্রতিফলন হিসেবে এবং অবহেলিত মুক্তাগাছাবাসীকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। মুক্তাগাছার আপামর জনসাধারণের মত আমি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।